‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ অভূতপূর্ব ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে রব বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনের পতনের পর ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ, ফ্যাসিবাদী চক্রের অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপ প্রতিরোধ ও ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ও অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রয়োজনে একমাত্র বিকল্প হচ্ছে ‘জাতীয় ঐক্য’, যা ইতিহাসের নির্দেশিত পথ।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক নির্দেশনাকে উপেক্ষা করায় জাতি আজ অবধি গভীর সংকট অতিক্রম করতে পারেনি। ইতিহাসের এই ক্রান্তিলগ্নে সরকার ‘জাতীয় ঐকমত্য গঠন কমিশন’ করার যে ঘোষণা দিয়েছেন তা গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাস্তবতারই প্রতিফলন। এ কমিশন গঠনের ঘোষণা অভূতপূর্ব এবং যুগান্তকারী।
আবদুর রব বলেন, রাষ্ট্র বিনির্মাণের প্রশ্নে রাজনৈতিক দল ও উৎপাদন, জ্ঞানবিজ্ঞান ও মেধার অধিকারী অদলীয় পেশাজীবী সামাজিক শক্তি সমূহের জাতীয় ঐক্য স্থাপিত হলে শোষণ, লুণ্ঠন এবং অমানবিক, বর্বরোচিত ও প্রভুত্ববাদী রাজনীতির পরিবর্তন হবে। এর মাধ্যমে গণমুখী রাজনীতি প্রবর্তনের প্রশ্নে এক মহাজাগরণের সৃষ্টি হবে, যা রাজনীতিতে একটি গুণগত পরিবর্তন সাধন এবং সৃজনশীল সংস্কৃতির প্রভাব বলয় সৃষ্টি করবে। ফলে গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অংশীদারিত্বমূলক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ে উঠবে সমাজের সকল অংশের মানুষের সম্মতির ভিত্তিতে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐক্য গঠনের ঐতিহাসিক সম্ভাবনাকে বিবেচনায় নিয়ে সকল রাজনৈতিক শক্তিকে রাজনৈতিক করণীয় নির্ধারণের আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন