বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে নির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য স্বৈরাচার পতন উত্তর অন্তর্বর্তী সরকারের গণতন্ত্রের পথে অগ্রযাত্রার মাইলফলক বলে মন্তব্য করেছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) নেতারা।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে আগামী জাতীয় নির্বাচন কখন হবে তার একটা সুনির্দিষ্ট ধারণা দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এনডিপি) সভাপতি কে এম আবু তাহের ও মহাসচিব আবদুল্লাহ-আল-হারুন (সোহেল)।
বিজয় দিবস উপলক্ষে ’৭১-এর বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে জাতীয় স্মৃতি সৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিবৃতিতে নেতারা বলেন, ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাক হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র মানুষ ও পুলিশ বাহিনীর ওপর আক্রমণ করলে নেতৃত্বশূন্য বাংলাদেশিরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ে। এমতাবস্থায় ২৭ মার্চ তৎকালীন মেজর জিয়ার স্বাধীনতা ঘোষণা সারা জাতিকে একত্রিত করে পাক হানাদার বাহিনীর ওপর প্রতি আক্রমণের মাধ্যমে স্বাধীনতার যুদ্ধে অনুপ্রাণিত করে।
নেতারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর অনেক আশা আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশে ১৯৭৫ পর্যন্ত অগণতান্ত্রিক, বাকস্বাধীনতাহীন ও একনায়কতান্ত্রিকভাবে শাসিত হয়। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন বাংলাদেশকে বিশ্ব মর্যাদায় ও অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতায় এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন তখন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রে প্রেসিডেন্ট জিয়া নিহত হলে স্বৈরাচারী প্রথা আবার চালু হয়। ১৯৯০ এর গণঅভ্যুত্থানে সেই স্বৈরাচারের পতন হলেও নির্মূল হয়নি।
তারা আরও বলেন, ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে নিজেদের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার জন্য সাংবিধানিক পরিবর্তন ও ফেসিজম প্রতিষ্ঠা করে। দীর্ঘ ১৫ বছর শেখ হাসিনা সরকারের অর্থনীতি লুটপাট বন্ধ ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনে বিশ্ববরেণ্য ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠায় জনগণ যখন ভোটাধিকার প্রয়োগ করে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে উৎসুক, তখন বিজয় দিবসের ভাষণে জাতীয় নির্বাচনের আভাস দেওয়ায় রাজনৈতিক দল ও জনগণের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) সভাপতি কে এম আবু তাহের ও মহাসচিব আবদুল্লাহ-আল-হারুন (সোহেল) প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে সাধুবাদ জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে, অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন দিয়ে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবেন।
মন্তব্য করুন