বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেছেন, ২৪-এর জুলাই বিপ্লবের মতো ১৯৭১ সালেও দল-মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে দেশের আপামর জনতা স্বাধীনতাযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ঐতিহাসিক এই সংগ্রামের বিজয় ছিল পুরো জাতির ঐক্যবদ্ধ ত্যাগ ও তিতিক্ষার ফল। কিন্তু স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়ার আগেই আওয়ামী লীগ সেই বিজয়কে ছিনতাই করে একে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে পরিণত করেছিল।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ৫৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর আয়োজিত বর্ণাঢ্য র্যালি-পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
এর আগে সকাল ৯টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট থেকে শাহবাগ পর্যন্ত এক বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম, সাহিত্য সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক আজিজুর রহমান আযাদ, প্রচার সম্পাদক সাদেক আব্দুল্লাহ, ছাত্রকল্যাণ ও ফাউন্ডেশন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্ল্যানিং ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ, অর্থ সম্পাদক তৌহিদুল হক মিজবাহ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমদ তাওফিক এবং পাঠাগার সম্পাদক অহিদুল ইসলাম আকিক।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আবু সাদেক কায়েম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি আলা উদ্দিন আবির, উত্তর সভাপতি আনিসুর রহমান, পশ্চিম সভাপতি সালা উদ্দিন মাহমুদ, পূর্ব সভাপতি মোজাফফর রহমান, ঢাকা কলেজ সভাপতি মানিকসহ অন্যান্য শাখা সেক্রেটারি ও মহানগর পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা।
সমাবেশে মঞ্জুরুল ইসলাম আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে পদার্পণ করলেও দেশের জনগণ এখনো স্বাধীনতার প্রকৃত সুফল পায়নি। দেশের প্রকৃত স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক চেতনার বিপরীতে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ১৯৭৫ সালে বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই অপশাসনের ধারাবাহিকতায় ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত সময়েও দেশে ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বাকস্বাধীনতা খর্ব করা হয়েছে এবং বিরোধী মত দমনে রাষ্ট্রীয় শক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নূরুল ইসলাম বলেন, স্বাধীনতা অর্জনের পর জাতি একটি এমন রাষ্ট্র চেয়েছিল যেখানে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে, সাম্য, মানবিক মর্যাদা এবং সামাজিক সুবিচার নিশ্চিত হবে। কিন্তু আওয়ামী লীগের শাসনামলে দুর্নীতি, লুটপাট এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ আত্মসাতের মহোৎসব চালানো হয়েছে। এ কারণেই আজ দেশ এক গভীর সংকটে নিপতিত।
র্যালি ও সমাবেশে বিপুল সংখ্যক ছাত্রশিবিরের কর্মী-সমর্থকরা অংশগ্রহণ করেন। জাতীয় পতাকা ও বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে তারা বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।
মন্তব্য করুন