মুসলমানদের ইসলাম থেকে দূরে সরিয়ে দিতে কথিত বুদ্ধিজীবীরা যুগযুগ ধরে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম। তিনি ইসলামবিরোধীদের বহুমুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ছাত্রদের বিভিন্ন পুস্তক অধ্যায়ন করে জ্ঞান অর্জনে গুরুত্বারোপ করেন।
রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বরিশালের চরমোনাই মাদ্রাসা অডিটোরিয়ামে বিশ্বব্যাপী ইসলামোফোবিয়া রোধে মুসলিম উম্মাহর করণীয় শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনার ও নাশীদ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহপ্রচার ও দাওয়াহবিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম কবির স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির বলেন, ইসলাম যে একটি পরিপূর্ণ শান্তির জীবন বিধান তা বিজাতীয়রা বুঝতে শুরু করলেও অনেক মুসলমান এখনো ইসলামের সৌন্দর্য সম্পর্কে অবগত নন। আমরা ঐ সকল মুসলমানদের ইসলামের পরিপূর্ণ বিধান সম্পর্কে বুঝাতে না পারার কারণে আজও তারা অবুঝ থেকে যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের প্রত্যেক ছাত্র কে ত্যাগী, আবেদ ও দানশীল হতে হবে। নিজের চেয়ে অপরকে প্রাধান্য দিয়ে সমাজে সেবা করতে হবে। সাহাবাদের নমুনায় ইসলামি হুকুমত কায়েমের জন্য ত্যাগী ও শাহাদাত বরণের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। দুনিয়ার লোভ ত্যাগ করতে হবে। সাহাবাদের ন্যায় ইমানের তাগিদে হিজরত বা দেশ ত্যাগ করতে হবে। ইসলাম কায়েমের জন্য সবকিছু উজাড় করে দিতে হবে।
চরমোনাই পীর বলেন, ৬৯ হিজরিতে সাহাবাদের যুগে লালমনিরহাটে মসজিদ স্থাপিত হয়েছে। কক্সবাজার ও টেকনাফে সাহাবায়ে কেরাম গণআগমনের কথা কোনো কোনো ঐতিহাসিকরা বলেছেন। দ্বীন ইসলাম মদিনা থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে এমন কোনো কষ্ট নেই যা তারা করেননি। ইসলামের গাছ বড় করতে হলে আমাদের সকলকে ত্যাগ করতে হবে। ইসলামের গাছের গোড়ায় রক্ত দেওয়া বা ঘাম ঝড়ানো না হলে ইসলাম নামের বৃক্ষ দুর্বল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, রোগীদের দুনিয়া ও আখেরাত বরবাদ হবে। সকলকে রুহানিয়াত ও জেহাদের সমন্বিত প্রয়াস নিয়ে ত্যাগী হতে হবে।
ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ, চরমোনাই কওমিয়া শাখার সভাপতি ফয়জুল্লাহ বিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান মেহমান ছিলেন, আন্তর্জাতিক ইসলামী ব্যক্তিত্ব, মিশরের আল আজহার ইউনিভার্সিটির প্রখ্যাত গবেষক ড. শায়খ যাকী মুহাম্মাদ আবু সারী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সহকারী মহাসচিব মুফতি সৈয়দ এছহাক মুহাম্মাদ আবুল খায়ের, চরমোনাই ইউপির চেয়ারম্যান মাওলানা সৈয়দ জিয়াউল করীম ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর প্রমুখ।
মন্তব্য করুন