বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে আমরা রাজনৈতিক দলগুলো সহযোগিতা করছি। আমরা প্রত্যাশা করি, ন্যূনতম যেসব সংস্কার জরুরি তা সম্পন্ন করে তারা নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে যাবেন।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এসময় বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিবকে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা ফরহাদ হোসেন আজাদ, আবু মোহাম্মদ আহসান ফিরোজ, সাদী আহমেদ, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
এর আগে ৩০ নভেম্বর স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে নিয়ে বিএনপি মহাসচিব লন্ডন যান। লন্ডন অবস্থাকালে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ ছাড়াও সেখানে কয়েকটি স্থানীয় দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। স্ত্রী রাহাত আরা বেগম লন্ডনে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকদের দেখান।
লন্ডন সফর ফলপ্রসূ হয়েছে জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে লন্ডন গিয়েছিলাম, তার সঙ্গে দেখা হয়েছে। এ ছাড়া প্রবাসী বাংলাদেশি এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং তাদের সভায় যোগ দিয়েছি। সেখানের প্রেসের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সবমিলিয়ে লন্ডনে আমার সফর ভালো ও ফলপ্রসূ হয়েছে।
তারেক রহমানের কাছ থেকে কি বার্তা নিয়ে এসেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাহেব বলেছেন, আপনার (দেশবাসী) ধৈর্য ধরবেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একটা বিশাল বিজয় এসেছে। এই বিজয়কে ফলপ্রসূ ও সার্থক করতে হলে অবশ্যই সবাইকে ধৈর্য ধরে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে এবং গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে। গণতন্ত্রের যে প্রথম পদক্ষেপ নির্বাচনের জন্য সকলকে প্রস্তুতি নিতে হবে।
দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কবে নাগাদ ফিরতে পারেন জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা জানেন, ওনার বিরুদ্ধে অনেক মিথ্যা এবং প্রতিহিংসামূলক মামলা রয়েছে। সেগুলো প্রত্যাহার হলে বা আদালতের মাধ্যমে শেষ হলে তিনি ফিরবেন।
মন্তব্য করুন