বাম সংগঠনগুলোর মোর্চা গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের দাবি, ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিবিরকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শক্তির গণহত্যা, নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে গণ রায় প্রকাশ হয়েছে, শিবিরকে পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে তা ভূলুণ্ঠিত করা হচ্ছে।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) জোটটির অন্যতম সদস্য সংগঠন বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক জাবির আহমদ জুবেলের পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ মন্তব্য করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, বহুল আকাঙ্ক্ষিত ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ বিনির্মাণের সুযোগ তৈরি হয়েছে৷ কিন্তু একইসময়ে আমরা লক্ষ্য করছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাত্তরের গণহত্যাকারী, পরাজিত শক্তি জামায়াতে ইসলামের সহযোগী সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। ১৯৭১ সালে ছাত্র শিবিরের পূর্বসূরি ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্যরা আল-বদর বাহিনী গঠন করে৷ যারা বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলো৷ একাত্তরে জামায়াতে ইসলামের খুন ধর্ষণের পক্ষে ছাত্র শিবির দীর্ঘদিন যাবৎ সম্মতি উৎপাদন করে আসছে। নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থানেও বিতর্কিত ভূমিকার জন্য ছাত্র শিবির এবং জাতীয় ছাত্র সমাজ দীর্ঘ তিন দশক যাবৎ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নিষিদ্ধ সংগঠন। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদী শক্তির গণহত্যা, নির্যাতন, নিপীড়নের বিরুদ্ধে যে গণ রায় প্রকাশ হয়েছে, ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবিরকে পুনর্বাসনের মধ্য দিয়ে তাকে ভূলুণ্ঠিত করা হচ্ছে ৷
এতে আরও বলা হয়, ইতিমধ্যে ফ্যাসিস্ট শক্তির ছায়াতলে ছাত্র শিবিরের গুপ্ত রাজনীতি, বিরাজনীতিকরণের রাজনীতি ক্যাম্পাসের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর ইঙ্গিত বহন করছে৷ তন্মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় শিবিরের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চালু হলে একই প্রক্রিয়ায় ছাত্রলীগেরও পুনর্বাসনের সুযোগ তৈরি করে হবে৷ ফলে ফ্যাসিবাদ, স্বৈরাচারের অংশীজন ও গণহত্যার সহযোগী ছাত্রলীগ, ছাত্র শিবির ও জাতীয় ছাত্র সমাজকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে ডাকসু নির্বাচনকে বিতর্কিত করার সুযোগ নেই৷
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ডাকসু গঠনতন্ত্র সংস্কার ও নির্বাচনের সুষ্ঠু, গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করে ডাকসু নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানান৷
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি দিলীপ রায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমা, বিপ্লবী ছাত্র-যুব আন্দোলনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তওফিকা প্রিয়া এবং বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাগীব নাঈম।
মন্তব্য করুন