দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে নির্বাচনসংশ্লিষ্ট সংস্কার অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বপ্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কমিটমেন্ট ছিল বৈষম্যবিরোধী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। তবে সংস্কারের উসিলা দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্ষমতায় থাকা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি) আয়োজিত ‘স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও টেকসই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই’- শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. মোশাররফ এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আমাদের নজরে আসছে, দেশে গভীর ষড়যন্ত্র হচ্ছে। ছোটখাটো বিষয়ে দাবি আদায়ে মানুষ রাস্তায় নামছে। অনেকে মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকার দুর্বল। ফলে শেখ হাসিনা ভারতে বসে ষড়যন্ত্র করতে সাহস পাচ্ছে। ভারত তাতে উসকানি দিচ্ছে।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মানুষের যেমন প্রত্যাশা আছে, ঠিক তেমনি তাদেরও কমিটমেন্ট আছে সংস্কার করার। অতি দ্রুত এটি করতে হবে। কোনো একক সরকারের পক্ষে দিন-তারিখ ঠিক করে পুরো সংস্কার করা সম্ভব নয়। আপনারা শুরু করেন, পরবর্তী সময়ে নির্বাচিত সরকার তা এগিয়ে নেবে।
তিনি আরও বলেন, সবাই মিলে ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এ দেশের মানুষ সব করতে পারে। পার্শ্ববর্তী দেশের আধিপত্য বিস্তারের যে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, তা আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দিতে পারবো।
জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদের সভাপতিত্বে এবং দলটির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন সমমনা জোটভুক্ত জাগপার সভাপতি খন্দকার লুৎফর রহমান, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত হোসেন, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নুরুল ইসলাম, এনপিপির জহির হোসেন হাকিম, নবী চৌধুরী প্রমুখ নেতারা।
মন্তব্য করুন