বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করলেও তারা যতবার ক্ষমতায় এসেছে ততবারই মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে দেশে ফ্যাসীতন্ত্র কায়েম করেছিল। ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ছিল বাকশালীদের প্রধান প্রতিপক্ষ। তাদের শাসনামলেই দেশের ইসলামী তাহজিব-তামুদ্দুনের ওপর আঘাত করে নাস্তিক্যবাদ ও সমকামিতাকে প্রমোট করা হয়। শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানার নবীনগর ও চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন ।
আওয়ামী-বাকশালীরা দেশের জনপ্রিয় জাতীয় নেতা ও বরেণ্য আলেম ওলামাদের নির্মমভাবে হত্যা এবং নির্যাতনের মাধ্যমে দেশে এক ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছিল উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, অপশাসন-দুঃশাসন আওয়ামী শাসনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তারা দেশকে মেধা ও নেতৃত্বশূণ্য করার জন্যই দেশ বরেণ্য আলেমদের বিচারের নামে প্রহসন করে নির্মমভাবে হত্যা করে দেশের পবিত্র জমিনকে রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত করেছে। কিন্তু এত কিছুর পরও আওয়ামী লীগের শেষ রক্ষা হয়নি। বরং ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলনে তাদের লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইসলামী আন্দোলনের পথ কখনো ফুল বিছানো ছিল না এবং এখনো নয়। যুগে যুগে যারাই মানুষের কাছে দ্বীনে হক্বের দাওয়াত দিয়েছে, তাদের ওপর নেমে এসেছে অবর্ণনীয় জুলুম-নির্যাতন। আর ইসলামের পতাকা সমুন্নত রাখার জন্যই হজরত হানজালা (রা.)-এর মতো বীর শহীদরা অকাতরে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। মূলত, ইসলামই মানবজীবনের সকল সমস্যার সমাধান দিয়েছে। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তির জন্য সকলকে ইসলামের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে অর্থবহ টেকসই করতে এবং দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।
মাওলানা মোহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের মোহাম্মদপুর জোন টিম সদস্য আব্দুল ওয়াজেদ কিরন ও প্রিন্সিপাল সিরাজুল ইসলাম, মোহাম্মদপুর পশ্চিম থানা আমির মো. মাসুদুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন থানা শুরা সদস্য এবাদত হোসেন, নুরে আলম সিদ্দিক, আশরাফুল আলম, আবুল কালাম আজাদ, শাহাবুদ্দিন মিজান, তাইয়্যেবুর রহমান, মারুফ বিল্লাহ, সাইফুর রহমান প্রমুখ।
মন্তব্য করুন