ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে সব দলকে নিয়ে জাতীয় সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের একাংশের নেতারা।
শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণঅধিকার পরিষদের (মশিউজ্জামান-ফারুক) এক মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ আহ্বান জানান তারা।
পরে ভারতীয় আগ্রাসনবিরোধী গণমিছিল প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিজয়নগর পানির টাংকির সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণঅধিকার পরিষদের একাংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান বলেন, ‘২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি অবৈধ নির্বাচনের পর গণঅধিকার পরিষদ ২১ জানুয়ারি প্রথম ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে ঘোষণা দেয়। আমরা উপলব্ধি করেছিলাম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও জনগণের বড় শত্রু শেখ হাসিনার বিদায় ঘটাতে হলে ভারতকে দুর্বল করতে হবে। আজ সব দেশপ্রেমিক ব্যক্তি ও দল উপলব্ধি করতে পেরেছে, ভারত বাংলাদেশের বন্ধুর মুখোশের আড়ালে শত্রুতা করছে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের এ অংশের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, ‘ভারত কাশ্মীরের মুসলমানদেরকে পুড়িয়ে মেরেছে। বিহার ও আসামে সংখ্যালঘু মুসলিমদের উপর বর্বর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা আমার দেশে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের সম্প্রীতির দেশকে সাম্প্রদায়িক আখ্যা দেয় কোন শরমে।’
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ডানে-বামে আওয়ামী লীগের দালাল, ভারতের এজেন্টরা বসে আছে; তাদেরকে সরাতে হবে। তাদেরকে বড় চেয়ারে বসিয়ে রেখে জাতীয় ঐক্য বাধাগ্রস্ত হবে। এখনো সচিবালয় থেকে ইউনিয়ন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের দালাল বসে আছে। অবিলম্বে তাদেরকে প্রত্যাহার করতে হবে।’
গণমিছিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী পলাশ চৌধুরী, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এস ফাহিম, ইঞ্জিনিয়ার থোয়াই চিং মং শাক, আরিফ বিল্লাহ, আবুল কালাম রুহানী, যুব অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক সাকিব হোসাইন, বাংলাদেশ ছাত্রঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব মুনতাসির মাহমুদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফ দাঁড়িয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রূপক, ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ, ইমরান আল নাজির প্রমুখ।
মন্তব্য করুন