জামায়াতে ইসলামী ন্যায়-ইনসাফের ভিত্তিতে একটি স্বপ্নের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর আদাবর-শেখেরটেকের ১২নং সড়কে আদাবর থানা জামায়াত আয়োজিত বিশাল সহযোগী সদস্য সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও আদাবর থানার আমির আলামিন সবুজের সভাপতিত্বে এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও আদাবর থানার সেক্রেটারি আশরাফুজ্জামান মিঠুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য এবং ঢাকা জেলা আমির মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান।
আরও বক্তব্য পেশ করেন- ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য হাসান আব্দুল্লাহ সাকীব, আ. আউয়াল আজম, মশিউর রহমান প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, জামায়াত এমন এক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য আপোষহীন যে সমাজে জনগণ হবেন চরিত্রবান ও সমাজ হবে ইনসাফপূর্ণ। যে সমাজে সন্তানরা পিতা-মাতাকে শ্রদ্ধা করবে, পিতা-মাতা সন্তানদের প্রতি স্নেহাশীল হবে। শিক্ষক-ছাত্রের মধ্যে গড়ে উঠবে প্রীতি ও ভালোবাসার সম্পর্ক। মূলত, সেই স্বপ্নের সব নাগরিকই হবেন পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি মূল্যবোধ সম্পন্ন জাতি গঠন করতে চাই যে জাতি হবে চারিত্রিক ও নৈতিক গুণাবলী সম্পন্ন। কিন্তু ফ্যাসিবাদী ও স্বৈরাচারী পতিত সরকার আমাদের চরিত্র ও মূল্যবোধ ধ্বংস করার জন্য দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করে দিয়ে শিক্ষার্থীদের আগডুম- বাগডুম শিখিয়েছে। তাই আমরা এই শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন করে অহির আদর্শের ভিত্তিতে একটি গণমুখী শিক্ষা জাতিকে উপহার দিতে চাই।
তিনি সেই কাঙ্ক্ষিত সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানান।
পাশাপাশি তিনি বলেন, কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য অতিমাত্রায় ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কিন্তু তাদের কাছে জনগণকে দেওয়ার মতো কোনো কর্মসূচি নেই। তারা ক্ষমতায় গেলে জনগণের কী কল্যাণ হবে, রাষ্ট্র সংস্কারে তারা কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন তার কোনো রূপরেখাও নেই। কিন্তু তার বিপরীতে জামায়াতে ইসলামী জনগণকে এক আদর্শবাদী স্বপ্নের রাষ্ট্র ব্যবস্থার স্বপ্ন দেখাচ্ছে, যেখানে ছাত্র-জনতার ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার স্বপ্নের বাস্তবায়ন থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন এক সমাজ কায়েমের চেষ্টা করছি যে সমাজে অনিয়ম, দুর্নীতি, সুদ ও ঘুষের অস্তিত্ব থাকবে না। সর্বোপরি সে সমাজে কোনো অপরাধকে মেনে নেওয়া হবে না বরং ন্যায়-ইনসাফই হবে রাষ্ট্রের মূলনীতি। তিনি সেই স্বপ্নের কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় জামায়াতের হাতকে শক্তিশালী করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান।
মন্তব্য করুন