কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

১০ দিনের মধ্যে চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করতে হবে : জামায়াত নেতা

হাতিরঝিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত
হাতিরঝিলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগর উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার বলেছেন, ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ বিপ্লবের মুখে আওয়ামী-বাকশালীদের পতন হলেও তাদের প্রেতাত্মারা এখনো মগবাজারে সক্রিয় রয়েছে। তারা লাগামহীন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, চাঁদাবাজি, দখলবাজি অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পতিত স্বৈরাচারীদের এসব অপতৎরতা জনগণ কোনোভাবেই চলতে দেবে না।

তিনি আগামী ১০ দিনের মধ্যে হাতিরঝিল এলাকার সব সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ করে জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান।

শুক্রবার (০৬ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মগবাজারে হাতিরঝিল থানা জামায়াত আয়োজিত সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলবাজমুক্ত হাতিরঝিল থানার দাবিতে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করতে আওয়ামী লীগের নানামুখী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

হাতিরঝিল পূর্ব থানা আমির অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং হাতিরঝিল পশ্চিম থানা আমির ইউসুফ আলী মোল্লার পরিচালনায় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর মজলিসে শূরা সদস্য নুরুল ইসলাম আকন্দ, রাশেদুল ইসলাম, জামায়াত নেতা গোলাম মাওলা, আকতার হোসেন, ড. আনোয়ারুল হক, ছাত্রশিবির নেতা ফজলুর রহমান, সাজ্জাদ শিহাব, নাদিম প্রমুখ।

বাদ জুমা বিক্ষোভ মিছিলটি মগবাজার টিএন্ডটি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে নয়াটোলা হয়ে মগবাজার মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত পথসভার পর বিক্ষোভ মিছিলটি ওয়্যারলেস রেলগেট হয়ে মধুবাগ মাঠ গিয়ে শেষ হয়।

আতাউর রহমান সরকার বলেন, অনেক ত্যাগ ও কোরবানির মাধ্যমে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করলেও আওয়ামী লীগের অপরাজনীতির কারণে আমরা পুরোপুরি স্বাধীনতার সুফল অর্জন করতে পারিনি। তারা ২০০৮ সালে পাতানো ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় দেশ ও জাতির ঘাড়ে জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসেছে। তারা গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করে। তাদের বিগত প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলে দেশকে অপরাধ ও অপরাধীদের অভয়ারণ্যে পরিণত করা হয়েছিল। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে দেশকে একনায়কতান্ত্রিক বাকশালী রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। কিন্তু ছাত্র-জনতার যুগপৎ আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের পতন হয়েছে। তাই অর্জিত বিজয়কে অর্থবহ করতে দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

দুর্বল হয়ে মাটিতে পড়ল হিমালয়া গৃধিনী শকুন

হাতকড়া নিয়েই মায়ের জানাজায় যুবলীগ নেতা

তিন ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জে স্পিনিং মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে

বিজয় দিবসে খ্রিষ্টান অ্যাসোসিয়েশনের বিশেষ প্রার্থনা 

আ.লীগ সরকারের নির্মিত স্তম্ভে শ্রদ্ধা জানায়নি প্রশাসনসহ রাজনৈতিক দল

বিজয় দিবসে জামালপুরে বর্ণাঢ্য র‍্যালি

রাতে আ.লীগের মিছিল, প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

নারায়ণগঞ্জে স্পিনিং মিলে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট

রাজধানীতে প্রাইভেটকারে বিদেশি মদ, দুই মাদককারবারি গ্রেপ্তার

বিএনপির দুই পক্ষের সভা, ১৪৪ ধারা জারি

১০

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রক্টরসহ আহত ৫

১১

হয় মাতৃভূমি রক্ষা করব, না হয় শহীদ হবো : জাহিদুল ইসলাম

১২

বাংলাদেশের জনগণ একটি গোষ্ঠীর হাতে জিম্মি ছিল : সাচিংপ্রু জেরী

১৩

গোলান ইস্যুতে ইসরায়েলকে সতর্ক করলেন সিরিয়ার বিদ্রোহী প্রধান

১৪

ভাঙ্গায় গাড়িচাপায় মোটরসাইকেল চালকসহ নিহত ২

১৫

বিএনপি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষা লালন করে :  প্রিন্স

১৬

শতাধিক ধানের জাত নিয়ে খুবি শিক্ষার্থীদের গবেষণা

১৭

বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রবেশকালে দুই ছাত্রকে ছুরিকাঘাত

১৮

অ্যাথলেটিকো ম্যাচের আগে বার্সা শিবিরে বড় দুঃসংবাদ

১৯

বাইক চালাচ্ছেন হাতকড়া পরা আসামি, পেছনে পুলিশ

২০
X