বিএনপির নেতাকর্মীরা সচেতন না হলে গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু। তিনি বলেন, এখন বাংলাদেশের গণতন্ত্র নিয়ে নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত না হওয়া এবং একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না হওয়া পর্যন্ত জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতিটি নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামে ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি’- শীর্ষক দলের বিভাগীয় প্রশিক্ষণ কর্মশালায় টুকু এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরে এসেও আমরা স্বাধীনতা রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার জন্য যে আন্দোলন-সংগ্রাম করছি, সবার ঐক্যের মধ্য দিয়েই তার সফলতা আমরা দেখতে পাব। এজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা নতুন প্রজন্মের হাতে ঐক্যবদ্ধ জাতি তুলে দিতে চাই। যেখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও মুসলমান একসঙ্গে বসবাস করবে। সবাইকে নিয়ে নতুন বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। একজন নাগরিক হিসেবে সবাই সমান অধিকার ভোগ করবে। সকল মানুষকে সম্মান ও ভালবাসতে হবে। আমরা দুর্নীতিমুক্ত, সন্ত্রাস ও শোষণমুক্ত সম্প্রীতির বাংলাদেশ চাই।
টুকু বলেন, বিএনপির বিগত ১৬ বছরের আন্দোলন এবং গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নতুনভাবে স্বাধীন হয়েছে, দেশ স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে, আমরা একটি নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। এই নতুন বাংলাদেশে একটি সুন্দর সমাজ গড়তে চায় বিএনপি।
তিনি বলেন, যারা শেখ হাসিনার দোসর ছিল, যারা শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখার জন্য চেষ্টা করেছে- তারা এখন দেশের বিভিন্ন আনাচকানাচে থেকে নানা দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে দাবিও জানাচ্ছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ রিকশাওয়ালা এখন হয়ে আসে।
অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, যারা আওয়ামী লীগের দোসর ছিল, যারা জুলাই-আগস্ট গণহত্যা চালিয়েছে, যারা বাকশাল কায়েম করেছে, যারা ব্যাংক লুট করেছে, যারা এ দেশের সাধারণ জনগণের টাকা লুট করে কানাডায় বাড়ি করেছে- অবিলম্বে তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
মন্তব্য করুন