২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং পরবর্তী মামলার বিষয়টি শেখ হাসিনার সাজানো নাটক বলে অভিহিত করেছে চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সব আসামি খালাস পাওয়ায় স্বস্তি এবং আদালতের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে সংগঠনটি। ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশীদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম রোববার (১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এসব জানান।
তারা বলেন, তারেক রহমানসহ সব আসামিকে ন্যায়বিচার পেতে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে। বহু বছর ধরে ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ আদালতে তারেক রহমান সঠিক বিচার পাননি। তবে, তাকে দমানো যায়নি। তিনি ন্যায়বিচারের আশায় আদালতের প্রতি আস্থাশীল থেকে আইনি লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন। অবশেষে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারী হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর স্বাধীন আদালতে তিনি ন্যায়বিচার পেয়েছেন এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমান, সাবেক স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামি বেকসুর খালাস পেয়েছেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, এই রায়ে সত্যের জয় হয়েছে। জনগণের সম্মুখে উন্মোচিত ও প্রমাণিত হয়েছে যে, স্বৈরাচারীর আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা সকল মামলাই ছিল রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক, মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
ড্যাব নেতৃদ্বয় আরও বলেন যে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিল কুখ্যাত নাট্যকার শেখ হাসিনার সাজানো নাটক। এই হামলায় বিএনপির কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। তৎকালীন বিএনপি সরকারকে ফাঁসাতে অর্থাৎ চাপে ফেলতে এমন জঘন্য ষড়যন্ত্রমূলক নাটক সাজিয়ে কিছু মানুষকে হত্যা ও আহত করেছিলেন স্বয়ং শেখ হাসিনা। প্রতিপক্ষকে ফাসাঁতে এমন বীভৎস ও পৈশাচিক হত্যার ঘটনা হাসিনা ব্যতীত পৃথিবীতে আর কেউ ঘটাননি। তারপর, ক্ষমতায় এসে প্রহসনমূলক নাটকের দ্বিতীয় পর্ব শুরু করেন হাসিনা। এই পর্যায়ে আদালতকে চাপ দিয়ে ফরমায়েশি রায়ে তারেক রহমানসহ অন্যান্যদের সাজা প্রদান করেন। হাসিনার আজ্ঞাবহ আদালত কর্তৃক ফরমায়েশি রায় তৎক্ষণাৎ এ দেশের আপামর জনতা কর্তৃক প্রত্যাখ্যাত হয়েছিল। ফ্যাসিস্টের পতনের পর বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে সত্য ও ন্যায়ের বিজয়ের মাধ্যমে আরেকটি খুশির সংবাদ পেয়েছে দেশবাসী।
মন্তব্য করুন