দলের জন্য নেতাকর্মীদের শ্রদ্ধাশীল ও আনুগত্যশীল হয়ে ত্যাগ স্বীকার করে কাজ করতে শপথ করালেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক। তিনি বলেন, আমরা ওয়াদাবদ্ধ হচ্ছি, দলের সকল নির্দেশনা, সকল কার্যক্রম আমরা সকলেই অক্ষরে অক্ষরে পালন করব, ইনশাআল্লাহ।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর পল্লবীর ২ নম্বর ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নবগঠিত পূর্ণাঙ্গ আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি ও যৌথসভায় দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে এ শপথ পাঠ করান তিনি।
আমিনুল হক বলেন, পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যেভাবে দেশে দুঃশাসন চালিয়েছে, চাঁদাবাজি-লুটতরাজ করেছে; আমরা সেই রাজনীতি করতে চাই না। আমরা মানুষের উন্নয়ন ও তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন করতে চাই, মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে চাই। এ দেশের জনগণ কী চায়? আমরা সেই কাজটি করব। সেই কাজটি করাই হচ্ছে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের এগুতে হবে।
দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, পতিত আওয়ামী লীগের সুবিধাবাদীরা, তারা আপনাদের কাউকে কাউকে সুযোগ-সুবিধা দিয়ে বিএনপিতে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টা করছে। আপনারা এটা করতে যাবেন না। গত ১৭ বছরের জঞ্জাল সাফ করতে গিয়ে আপনারাও যদি কেউ জঞ্জালের সঙ্গে জড়িয়ে যান- তাহলে কিন্তু দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে আপনারা যে কষ্ট করেছেন, নির্যাতন-নিপীড়ন সহ্য করেছেন, সেই ১৭ বছরের কষ্ট একদিনেই ধূলিস্যাৎ হয়ে যাবে।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা গত ১৭ বছরে মামলা-হামলা, নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়ে একেকজন নেতাকর্মী খাঁটি সোনায় পরিণত হয়েছেন। এই খাঁটি সোনার ভেতরে আপনারা খাদ ঢুকাবেন না। এজন্য সকলে সতর্ক থাকুন।
আমিনুল হক আরও বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের গত ১৭ বছরে আমাদের ওপরে যে পরিমাণ মামলা-হামলা, জুলুম, নির্যাতন ও নিপীড়ন চালিয়েছে, আমাদের বহু ভাইকে গুম-খুন ও হত্যা করেছে, আমাদের বারবার জেলে যেতে হয়েছে, আমাদের ওপরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করেছে- এই ১৭ বছরের ইতিহাস দয়া করে কেউ ভুলবেন না। কিন্তু আমরা কেউ প্রতিহিংসাপরায়ণ হবো না।
মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামানের সঞ্চালনায় সভায় সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, ফেরদৌসী আহমেদ মিষ্টি, আক্তার হোসেন, আতাউর রহমান চেয়ারম্যান, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, তুহিরুল ইসলাম তুহিন, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ, আফাজ উদ্দিন, হাজি মো. ইউসুফ, শাহ আলম, মাহাবুবুল আলম মন্টু, সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আলী আকবর আলী, এল রহমান, মোজাম্মেল হোসেন সেলিম, জাহাঙ্গীর মোল্লা, শফিকুল ইসলাম শাহিন, রেজাউর রহমান ফাহিম, নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবির রওশন, জিয়াউর রহমান জিয়া, আবুল হোসেন আব্দুল, আশরাফুজাহান জাহান, হাফিজুল হাসান শুভ্র, শামীম পারভেজ, মনিরুল আলম রাহিমী, আবুল কালাম আজাদ, মাহাবুবুল হক ভূঁইয়া শাহিন, সাজ্জাদ হোসেন মোল্লা, ফারুক হোসেন ভূঁইয়া, নাসির উদ্দিন, মো. আলী, নুরুল হুদা ভূঁইয়া, মোতালেব হোসেন রতন, রফিকুল ইসলাম খান, এএসএম খালেদ, এমএস আহমাদ আলী, ইব্রাহিম খলিল (সহ-দফতর), সোহেল রানা, মাহাবুবুর রহমান, হান্নানুর রহমান ভূঁইয়া, জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, তাসলিমা রিতা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়াও সভায় উত্তরের অধীন ২৬টি থানা ও ৭১টি ওয়ার্ড বিএনপির দায়িত্বশীল নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন