কিছুসংখ্যক মানুষ আছনে যারা নিজেদের সবচেয়ে দেশপ্রেমিক মনে করেন, আর গোটা জাতিকে আজকে তারা বিভাজনের দিকে উসকে দিয়ে একটা অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আপনারা ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করবেন যে, যারা আজকে দেশকে বিভাজনের দিকে ঠেলছে, অনৈক্যের দিকে ঠেলছে, তারা আমাদের আসলে শত্রু না মিত্র। এ জিনিসগুলো বুঝতে হবে।
এদিকে শহিদ ডা. মিলন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তিন মাস হয়নি এখনই রাস্তায় রাস্তায় লড়াই শুরু হয়েছে। এত যে প্রাণ গেল, তার ফলশ্রুতি কি এই বাংলাদেশ? তিন মাস হয়নি এখনই রাস্তায় রাস্তায় লড়াই শুরু হয়েছে। তিন মাস এখনো যায়নি একজন আরেকজনের রক্ত ঝরাচ্ছে। তিন মাসও যায়নি এখনই পত্রিকা অফিস পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, আক্রমণ করছে।
তিনি বলেন, এ কোন বাংলাদেশ? আমরা কি ৫ আগস্টের আগে এমন বাংলাদেশকে চিনতাম? আজ কেন এই ভয়াবহ হিংসা? আজ কেন এই ভয়াবহ অস্থিরতা? সমস্যাগুলো কোথায়? এই প্রশ্নগুলো আপনাদের কাছে আমি করছি।
মির্জা ফখরুল বলেন, ৫ আগস্টের পর সুযোগ এসেছিল সবাই মিলে একসঙ্গে একত্রে মিলে দেশের জন্য একটি পরিবর্তন নিয়ে আসার। তিন মাস হয়নি এখনো, এই তিনটা মাসের মধ্যেই আমাদের সেই আসল চেহারা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। এরকম চেহারা নিয়ে কোনোদিনই সাফল্য অর্জন করা যায় না। যতই বড় বড় কথা বলি, যতই লম্বা লম্বা বক্তৃতা করি, বিশ্বকে এক করার চেষ্টা করি, হয় না। নিজের ঘরেই যদি বিভেদ থেকে যায়, বিভাজন থেকে যায়, তাহলে হয় না।
তিনি বলেন, আপনারা চিন্তা করতে পারেন ধর্মকে কেন্দ্র করে কি উন্মাদনা শুরু হয়েছে বাংলাদেশে? আপনি চিন্তা করতে পারেন মুক্ত স্বাধীন মিডিয়ার জন্য প্রেসের জন্য আমরা এতদিন লড়াই করলাম, তার অফিস পুড়িয়ে দিচ্ছে। এই বাংলাদেশ তো দেখতে চাই না, আমি অন্তত দেখতে চাই না।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আর কি উন্মাদনা, কিছু সংখ্যক মানুষ আছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়, যখন দেখি আতঙ্কিত হয়ে উঠি। পুড়িয়ে দাও, জ্বালিয়ে দাও-এরকম কথাবার্তা হচ্ছে সেখানে। চিন্তা করতে পারেন কোন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশকে?
মন্তব্য করুন