কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:১৩ পিএম
আপডেট : ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

খালেদা জিয়াকে সেনাকুঞ্জে আনতে পেরে আমরা গর্বিত : প্রধান উপদেষ্টা

সেনাকুঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত
সেনাকুঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আনতে পেরে আমরা গর্বিত বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা জানান তিনি।

ড. ইউনূস বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। ১২ বছর তিনি আসার সুযোগ পাননি। তাকে এই সুযোগ দিতে পেরে আমরা গর্বিত। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে সেনানিবাসস্থ সেনাকুঞ্জে পৌঁছান খালেদা জিয়া। বিকেল সাড়ে ৩টায় গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে সেনাকুঞ্জে রওনা করেন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১২ সালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে অংশ নেন।

২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়েন খালেদা জিয়া। বিএনপি তখন অভিযোগ করেছিল, বল প্রয়োগের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে। সেনানিবাসের বাড়ি ছাড়ার পর ওইদিন সন্ধ্যায় গুলশানে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে খালেদা জিয়া বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে তাকে প্রেসিডেন্ট জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে উৎখাত করা হয়েছে।’

দুদকের মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। বিএনপির পক্ষ থেকে তখন বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে সাজা দেওয়া হয়েছে। এরপর পরিবারের আবেদনে ২০২০ সালের মার্চ থেকে সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাময়িক মুক্তি পান তিনি। প্রতি ছয় মাস পরপর তার এ সাময়িক মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়। মুক্তির পর খালেদা জিয়া গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় থাকলেও অসুস্থতার কারণে তাকে একাধিকবার বসুন্ধরার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে। পরে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট পুরোপুরি মুক্তি পান খালেদা জিয়া। রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছেন বলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনে জানায়। বর্তমানে তিনি গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় রয়েছেন। লিভার সিরোসিসসহ একাধিক রোগে আক্রান্ত খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্য যেতে পারেন। এ লক্ষ্যে এখন জোরেশোরে প্রস্তুতি চলছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস / বিচারের পর আ.লীগকে নির্বাচনে স্বাগত জানানো হবে

নিজেকে প্রস্তুত করছেন কনকচাঁপা

দুদকের ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ছাত্রের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক, শিক্ষিকার ৩০ বছরের কারাদণ্ড

নবীন শিক্ষার্থীদের বরণ করে নিল ইবি ছাত্রশিবির

জানা গেল জবিতে ভর্তির প্রাথমিক আবেদন শুরুর তারিখ

সংবাদকর্মী নয়ন হাসান আর নেই

আপত্তিকর সেই ভিডিও নিয়ে মুখ খুললেন তিশা (ভিডিও)  

জাবি শিক্ষার্থী রাচির মৃত্যু, ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

চীন সফর শেষে দেশে ফিরলেন ঢাবি উপাচার্য

১০

মংডুতে মুহুর্মুহু গোলাগুলি-বিস্ফোরণ, টেকনাফে আতঙ্ক

১১

পরিবারের চেয়ে দলের সঙ্গে বেশি সময় কাটাই : তাসকিন

১২

নির্বাচন কমিশনকে স্বাগত জানাল খেলাফত মজলিস

১৩

জলবায়ু পরিবর্তনে সংকটে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি

১৪

একযুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া, বসলেন ড. ইউনূসের পাশে

১৫

চট্টগ্রাম পলিটেকনিকে দুপক্ষের সংঘর্ষে ৩ শিক্ষার্থী আহত

১৬

কোনো পদে বা পক্ষে থাকতে চান না এহসানুল হক সমাজী

১৭

জয়কে অপহরণ চেষ্টা মামলা দণ্ডাদেশ স্থগিত চেয়ে প্রধান আসামির আবেদন

১৮

হিরু আলমের যাবজ্জীবন

১৯

গ্যাঁড়াকলে নেতানিয়াহু, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

২০
X