বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে কোথাও কোনো ঘাপলা আছে। এ সরকারের কারো মধ্যে কোনো মাস্টার প্ল্যান আছে কি না এটা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে মিলনায়তনে আমরা বিএনপি পরিবার-এর উদ্যোগে জুলাই-আগস্টের আহত ১০ জনের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণের পূর্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থনে অন্তর্বর্তী সরকার দেশ চালাচ্ছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সেই বক্তব্যে আমার মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে। তিনি বলেছেন, ‘চার বছর লাগবে সংস্কার করতে’ কিন্তু কেন? অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আমাদের লড়াই। বাক স্বাধীনতার জন্য লড়াই। যে বাচ্চাদের আজ ২০-২২ বছর বয়স তারা ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোট দেওয়া জানে না। তারা আর কত সময় অপেক্ষা করবে? অন্তর্বর্তী সরকার হবে গণতন্ত্রের প্রতীক, গণতন্ত্রের মডেল। তা না করে এই যে প্রলম্বিত করা, এই প্রলম্বিত করা আমার মনে হচ্ছে কোথাও কোনো জটিলতা হচ্ছে। গণতন্ত্র চর্চা ও গণতন্ত্রের বিকাশ কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে। তা না হলে তিনি কেনো এ কথা বলছেন? এত লম্বা সময়ের কথা বলছেন। এ সরকারের মধ্যেই কোথাও কোনো ঘাপলা আছে। এ সরকারের মধ্যেই কেউ মাস্টার প্ল্যান আসছে কি না এটা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।
রিজভী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কত প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজে বলেছে ‘বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগের এক লাখ মানুষ মারা যাবে। কোথায় এক লাখ মানুষ মারা গেল?
তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনা বলেছিল ‘মালয়েশিয়ায় তারেক রহমানের নামে ইন্ডাস্ট্রি আছে, কারখানা আছে। এগুলো প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে মানুষদের বিভ্রান্তি করতে আওয়ামী লীগ। তাই যেটা সত্য সেটা পক্ষে থাকা দরকার।
তিনি বলেন, কাজের মধ্যে যদি ন্যায্যতা থাকে, তাহলে সেই কাজ সফল হয়। আর কাজের মধ্যে যদি অন্যায় অবিচার থাকে তাহলে সেই কাজ কখনো সফল হয় না। আমাদের বিএনপির পরিবার ন্যায্যতার সঙ্গে মানবসেবায় তৃণমূল পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছে।
‘আমরা বিএনপি পরিবার’র আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপির কেন্দ্রীয় শিল্পবিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল, আমরা বিএনপি পরিবার’র উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, অর্থনৈতিক বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, ডা. এমএ মুহিত।
সভা সঞ্চালনা করেন আমরা বিএনপি পরিবার’র সদস্য সচিব মোকছেদুল মোমিন মিথুন ও সদস্য মুস্তাকিন বিল্লাহ।
মন্তব্য করুন