শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে : সাকি

জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশ। ছবি : কালবেলা
জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশ। ছবি : কালবেলা

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। যার ভিত্তি হবে গণতান্ত্রিক সংবিধান। এ জন্য সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের তিন মাস হয়ে গেলেও এখনো মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, এভাবে চলতে পারে না। বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এসব সমস্যার সমাধান করা আপনাদের (অন্তর্বর্তী সরকার) দায়িত্ব। তিন মাস হয়ে গেছে (দায়িত্ব গ্রহণের), মানুষ আর বেশি দিন আপনাদের সময় দেবে না।

গত ১৫ বছর রাজনৈতিক দলগুলো বিশেষ করে ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে’ আন্দোলন করেছে মন্তব্য করে সাকি বলেন, ২০১৯ সালের পরে আমরা স্পষ্ট বলেছি, বিদ্যমান রাষ্ট্রব্যবস্থা স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থায় পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা। ২০১১ সালের পঞ্চদশ সংশোধনীর পরে ২০১৪ সালে বিনাভোটের নির্বাচন, ২০১৮ সালে মধ্যরাতের নির্বাচন এবং ২০২৪ সালে আমি-ডামির নির্বাচন। এ সবকিছুর মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র, সংবিধান, আইনকানুন সবকিছুকে তারা যে ব্যবস্থায় পরিণত করেছে, তাতে আর একটি নির্বাচনও সুষ্ঠু হওয়া সম্ভব নয়। সে কারণে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন পরবর্তী বাংলাদেশে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে। এজন্য সব রাজনৈতিক দলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী বলেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভিত্তি হবে গণতান্ত্রিক সংবিধান।

রাষ্ট্রব্যবস্থা ও আইনকে সংস্কার, মেরামত ও রূপান্তর করতে হবে। তার মধ্য দিয়ে একটা নির্বাচন হবে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার বুকের রক্তের দাম দিতে ও তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে সমস্ত রাজনৈতিক দলের ঐক্য প্রয়োজন। আমরা যদি জনগণের স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করতে চাই, আর কাউকে ফ্যাসিস্ট হিসেবে না দেখতে চাই তাহলে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ১৬০০ এর অধিক ছাত্র-শ্রমিক (গণআন্দোলনে) শহীদ হয়েছেন। ৫০০ এর ওপর মানুষ অন্ধ হয়েছে, ৫০ হাজারের ওপর আহত। এই দেশের শ্রমজীবী খেটে খাওয়া মানুষের কথা সংবিধানে না এলে, জনগণের হাতে ক্ষমতা না থাকলে, ক্ষমতাবানরা জনগণের কাছে জবাবদিহি না করলে কোনো সংবিধান গণতান্ত্রিক হতে পারে না। ফাঁক গলে আবার ফ্যাসিস্ট আসবে।

সমাবেশে গণসংহতি আন্দোলনের আবুল হাসান রুবেল, দেওয়ান আব্দুর রশীদ, মনির উদ্দীন পাপ্পু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মৌলভীবাজারে বিএনপির ৭ উপজেলা ও পৌর কমিটি বিলুপ্ত

‘বঙ্গবন্ধু টানেলে যেসব সুফল ভোগ করার কথা, তার কিছুই হয়নি’

ইংল্যান্ডের জয়, ইসরায়েলে থমকাল ফ্রান্স

প্রত্যাশার পারদ উঁচুতে রাখছেন কাবরেরা

সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ভাই গ্রেপ্তার

ঢাবির শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগে প্রফেশনাল মাস্টার্সের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠিত

‘দেশকে ফ্যাসিবাদমুক্ত করতে জাতীয় ঐকমত্যের বিকল্প নেই’

বিএনপির সভায় যাওয়ার পথে বোমা হামলায় আহত প্রবাসীর মৃত্যু

ইঞ্জিনিয়ার মানস মিত্রের মৃত্যুতে ঐক্য পরিষদের শোক

আখাউড়ায় যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ

১০

ঐক্যবদ্ধ থাকলে কেউ ক্ষতি করতে পারবে না : লায়ন ফারুক 

১১

ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পটভূমিতে ‘শরীর ও মানচিত্র’ প্রদর্শনী  

১২

তওবা করে মাদক ছাড়ার শপথ নিলেন তারা

১৩

বাকৃবিতে ‘কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই’ শীর্ষক সংলাপ অনুষ্ঠিত

১৪

সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত লাগবে : সাকি

১৫

ছায়ানটের শ্রোতার আসরে রাগসঙ্গীত

১৬

ভেঙে যাচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সব কমিটি

১৭

বিপ্লবকে নস্যাৎ করতে এখনো তৎপর আ.লীগ : অ্যাডভোকেট সালাম

১৮

ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু

১৯

জানা গেল বিএসসির দুই জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের কারণ

২০
X