অন্তর্বর্তী সরকারের হানিমুন পিরিয়ডের সময় শেষ উল্লেখ করে এবার তাদেরকে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোট শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি- জাগপার সহ-সভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে প্রয়াত শফিউল আলম প্রধান মিলনায়তনে জাগপা আয়োজিত ‘অন্তর্বর্তী সরকারের ৯৯ দিন : জনগণের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি’-শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান তিনি।
রাশেদ প্রধান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সফলতাও আছে। তারা দায়িত্ব গ্রহণের পর ৯৯ দিনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন, ডলার সংকট দূরীকরণ, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ বৃদ্ধি, বাণিজ্য প্রসারের পথ উন্মোচন করেছেন। ছাত্র-জনতা এবং গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সহায়তায় জুডিশিয়াল ক্যু, গার্মেন্টস বিশৃঙ্খলা, পাহাড়ে অশান্তি সৃষ্টি, আনসারদের দিয়ে সচিবালয় ঘেরাও, ট্রাম্পের ছবি ব্যবহারসহ নানাবিধ আওয়ামী ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছে।
তিনি বলেন, সরকারকে বুঝতে হবে- সরকারের কাঠামো একজনকে দিয়ে চলে না। ড. মুহাম্মদ ইউনূস একা কিছু করতে পারবেন না। প্রশাসনিক কাজে অভিজ্ঞতার অভাবে উপদেষ্টাদের অনেকেই আওয়ামী অনুগত সচিবদের পুতুল হয়ে গেছেন। তাই অনেক মন্ত্রণালয় অকার্যকর এবং গতিহীন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপদেষ্টা পদে আওয়ামী প্রেতাত্মাদের নিয়োগ দেওয়া শুরু করেছে। এভাবে নতুন বাংলাদেশ চলতে পারে না।
জাগপার এই মুখপাত্র বলেন, নিষ্ক্রিয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে বহাল তবিয়তে আওয়ামীপন্থিরা। গণহত্যার জন্য গুলির নির্দেশদাতা কর্মকর্তারাও বহাল তবিয়তে। আওয়ামী সিন্ডিকেট দমানো যায়নি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের মানুষ দিশেহারা। শেয়ারবাজার তলানিতে, জনশক্তি রপ্তানিতে কাঙ্ক্ষিত গতি বাড়েনি। পিলখানা ও শাপলা চত্বর গণহত্যার পুনঃতদন্তের উদ্যোগ নেই। স্বাস্থ্যসেবায় ভয়াল অবস্থা, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের আহতদের সুচিকিৎসা এখনো নিশ্চিত হয়নি, শহীদ পরিবাররা এখনো অসহায়।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, হাজী মো. হাসমত উল্লাহ, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রওশন আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবুল, ঢাকা মহানগরের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম হাসু, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, সাংগঠনিক সম্পাদক হোসনে আরা হাসু, জাগপা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহমান ফারুকী, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার, মনোয়ার হোসেন, দিদার হোসেন, মো. বাবুল, মেরিনা আক্তার আরজু, জনি নন্দী, পাবেল সরকার, মো. হাসান, আল আমিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন