জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং বিএনপির নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরের আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। অন্য নেতাকর্মীরাও হয় কারাগারে, নয়তো আত্মগোপনে কিংবা বিদেশে পালিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশে আবারো আওয়ামী লীগের রাজনীতি কিংবা জেগে ওঠার কোনো সুযোগ নেই।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার হত্যাকারীদের দেশের জনগণ আর সে সুযোগ দিবে না। সেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে নতুন ‘রাজনৈতিক’ বাপ ডাকলেও হবে না।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাশেদ প্রধান এসব কথা বলেন। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের পতিত আমলাদের শনাক্ত করে অপসারণের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়।
রাশেদ প্রধান বলেন, ট্রাম্পের ছবি দিয়ে ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড করে আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে- শেখ মুজিবুর রহমান নয়, তাদের নতুন রাজনৈতিক পিতা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে কথাবার্তা পরিষ্কার, মোদি-ট্রাম্প শেখ হাসিনাকে রক্ষা করতে পারবে না। বাংলার মাটিতে হাসিনা সরকারের আমলের সব গণহত্যার বিচার হবে। পিলখানা, শাপলা চত্বর, জুলাই-আগস্ট গণহত্যার দায়ে ‘খুনি’ হাসিনার ফাঁসি হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকারে এবং প্রশাসনে অবস্থানরত আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মাদের দ্রুত অপসারণ করতে হবে। যদি আমরা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে বিলম্ব করা হয়, তাহলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে আমাদের আরেকটি যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে হতে পারে। আমাদের মনে রাখতে হবে- আবারো আওয়ামী লীগ মানে গণহত্যা, আবারো আওয়ামী লীগ মানে গণতন্ত্র হত্যা।
ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন নসু, কৃষক দলের সাবেক নেতা শাহজাহান মিয়া সম্রাট প্রমুখ।
মন্তব্য করুন