বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রের কথা বলে দেশকে ধ্বংস করেছে। নিজেদের স্বৈরাচারী শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। গণতন্ত্রের মুখোশ পরে স্বৈরশাসকে অবতীর্ণ হয়েছিল। পরে আবার ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে তারা হারিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবিধান সংস্কারে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মঈন খান বলেন, মানবসমাজ পরিবর্তনশীল। এই পরিবর্তনের সঙ্গে সবাইকে খাপ খাইয়ে চলতে হবে। যে তাল মিলিয়ে চলতে না পারবে, তাকে কিন্তু ছিটকে পড়তে হবে; যেমনটা এখন আওয়ামী লীগ পড়েছে।
তিনি বলেন, ৭১-এ মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে যারা অংশ নিয়েছেন, তারা পরস্পরবিরোধী নয়। তারা একে অপরের পরিপূরক। সংঘাতের রাজনীতিতে দেশের কোনো উন্নতি হবে না। গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের মূল উদ্দেশ্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা। যে কাজগুলো আমাদের করা প্রয়োজন, সেগুলো করতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য যদি সৎ হয়, সত্যিকারে জনগণের মঙ্গলে কাজ করতে চাই, তাহলে এ কাজ করতে কোনো বাধা আসবে না।
সভাপতির বক্তব্যে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, শেখ হাসিনা এ দেশের গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছে, নির্বাচন ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা এমন একটি নির্বাচন চাই, যে নির্বাচন সবাই আনন্দের সাথে গ্রহণ করতে পারবে। এই রকম একটি নির্বাচনে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে, দেশে গণতন্ত্রের একটি মূল্যবোধ আসবে। এটার ওপর দাঁড়িয়ে আমরা একটি গণতান্ত্রিক দেশ তৈরি করতে পারবো। তার মানে মূল কাজ হচ্ছে নির্বাচন করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদেরকে ঐকমত্যের ভিত্তিতে সংবিধান পরিবর্তন কিংবা রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে। এমনিতেই ভাবনা-চিন্তা, কাজ ও দলের দিক থেকে বাংলাদেশ অনেক বিভাজিত। এই বিভাজন যদি চলতে থাকে, তাহলে এগিয়ে যাওয়া যাবে না। আমাদের মতগুলো সন্নিবেশিত করতে হবে, একসাথে করতে হবে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূমসহ অন্যরা।
মন্তব্য করুন