বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু বলেছেন, গত জুলাই-আগস্ট মাসের অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন শুধু এক মাসের সাফল্য নয়, এই সফলতা বিগত ১৫ বছরব্যাপী বিএনপি নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের ফসল। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব একটা সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে সে সরকারই জনগণের প্রতিনিধিত্ব করবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করবেন। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধিত্ব ছাড়া কখনো সংস্কার কার্যক্রম হয় না এবং সংস্কার একদিন বা এক বছরে হয় না, এটা চলমান প্রক্রিয়া।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এনডিপি) আয়োজিত ‘ভোটাধিকারের আন্দোলন থেকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গণঅভ্যুত্থান-জনগণের প্রত্যাশা ও অন্তর্বর্তী সরকারের ৩ মাসের সাফল্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
এনডিপির সভাপতি কে এম আবু তাহেরের সভাপতিত্ব এবং মহাসচিব আবদুল্লাহ-আল-হারুন (সোহেল) আয়োজিত আলোচনাসভা সঞ্চালনা করেন।
সভাপতির বক্তব্যে এনডিপি সভাপতি কে এম আবু তাহের বলেন, বিগত আওয়ামী দুঃশাসনের জন্য সরকারের পতন হয়েছে। এই সরকার যদি ব্যর্থ হয় তবে বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য এম নাসের রহমান, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শূরা সদস্য ড. মো. হেলাল উদ্দিন, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জাগপার সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার লুৎফর রহমান, সহসভাপতি আওলাদ হোসেন শিল্পী, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, এনপিপির মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ডা. সৈয়দ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব আব্দুল বারিক, ডেমোক্রেটিক লীগ সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, জনতার অধিকার পার্টির তরিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, বাংলাদেশ গণপ্রবাসী দলের এসএম মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
মন্তব্য করুন