বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা বিদায় নিয়েছে। তবে তিনি বিদেশে বসেও তার দোসরদের দিয়ে দেশে ষড়যন্ত্র করছেন। আজকে না কি আওয়ামী লীগ মিছিল নিয়ে বের হবে। বিদেশে বসে এভাবে ভাওতাবাজি করে জনগণকে একত্রিত করতে পারবেন না। ভুয়া আওয়াজ দিয়ে দেশের মানুষকে আর দ্বিধাগ্রস্ত করতে পারবেন না।
রোববার (১০ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ফারুক বলেন, আমরা ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন করেছিলাম। কারণ, আমরা শোষিত হতে চাইনি। আমরা শোষণ চাই না, আমরা চাই গণতান্ত্রিক দেশ। আমরা চাই, দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে বসবাস করুক। গণতান্ত্রিক পরিবেশে তারা যেন গণতন্ত্রের কথা বলতে পারেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, স্বাধীনতার পর থেকেই ষড়যন্ত্র চলছে। যারা ক্ষমতায় এসেই রক্ষীবাহিনী তৈরি করেছে, বাংলাদেশের সংবিধান তছনছ করে একদলীয় শাসন কায়েম করেছে- তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেয়েছেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
তিনি আরও বলেন, বড় বড় কথা বলে যারা গত ১৬ বছর দেশ শাসন করলেন, তারা এখন কোথায়? আওয়ামী লীগ সংবিধান তছনছ করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে। রাষ্ট্রীয় সকল প্রতিষ্ঠানকে নিজ দলীয় আড্ডাখানায় পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা।
অন্তর্বর্তী সরকারকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ করে দ্রুত রোডম্যাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি- তারা যেন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করে। সংস্কারের নামে বিলম্ব না করারও আহ্বান জানান তিনি।
জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এস এম শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং মহাসচিব সাইফুল আলমের সঞ্চালনায় এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটভুক্ত এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, ডেমোক্রেটিক লীগের (ডিএল) সাধারণ সম্পাদক খোকন চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব আব্দুল বারিক, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির মীর আমীর হোসেন আমু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
মন্তব্য করুন