জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র রাশেদ প্রধান বলেছেন, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পলায়নের মাধ্যমে প্রাথমিক বিজয় অর্জিত হয়েছে। আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। কারণ, এখনো আমাদের অনেক কাজ বাকি আছে। গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার করতে হবে, প্রশাসনের সকল জায়গা থেকে আওয়ামী প্রেতাত্মাদের উৎখাত করতে হবে; আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতির নামে অপরাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে এবং আধিপত্যবাদ ও আগ্রাসনকে প্রতিরোধ করতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করতে হবে।
বুধবার (০৬ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তোপখানা রোডের শিশু কল্যাণ পরিষদে ‘আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলন’ আয়োজিত ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মো. মাসুদ হোসেন এতে সভাপতিত্ব করেন।
রাশেদ প্রধান বলেন, কোন সংবিধান মেনে আন্দোলন হয়েছিল? কোন সংবিধানের আলোকে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান হয়েছে? কোন সংবিধানের ধারায় শেখ হাসিনা পলায়ন করেছেন? অতএব সংবিধানের দোহাই দিবেন না, দ্রুততম সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে অপসারণের ব্যবস্থা করুন। সন্ত্রাসী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী কাজের হুকুমদাতা আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করুন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করে তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট পরবর্তী ৭ নভেম্বরের বিপ্লবে আমরা আধিপত্যহীন বাংলাদেশ পেয়েছিলাম। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের কল্যাণে শেখ মুজিবুর রহমানের বাকশাল এবং একনায়কতন্ত্রের জাল থেকে বেরিয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয়েছিল। না হলে আজও আমাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার থাকতো না।
মন্তব্য করুন