জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে যেসব বুদ্ধিজীবীরা সমর্থন করেছেন এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছেন তারা সবাই ছাত্র-রাজনীতি থাকার পক্ষে মতামত ব্যক্ত করেছেন। এসময় তিনি বদরুদ্দীন উমর, ড. সলিমুল্লাহ খান এবং ডক্টর আলী রিয়াজের নাম উল্লেখ করে বলেন, তারা সবাই ছাত্র-রাজনীতি চালু রাখার পক্ষে জোরালো মতামত দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের পরে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
নাছির উদ্দীন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অতীতে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিয়ে তাদের বিভীষিকাময় অভিজ্ঞতার কথা বলেছে। তারা গেস্টরুম নির্যাতন এবং জোর করে প্রোগ্রামে নেওয়া থেকে মুক্তি চায়। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলেছি, গেস্টরুম, জোরজবরদস্তি করে কর্মসূচিতে নেওয়ার রাজনীতি ছাত্রদল করবে না। গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে ধারণ করে ছাত্রদল মেধাভিত্তিক কল্যাণমুখী রাজনীতি চর্চা অব্যাহত রাখবে।
নাছির উদ্দীন আরও বলেন, ছাত্রদল দলীয় শৃঙ্খলার ব্যাপারে অতি কঠোর। কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। বৃহত্তম সংগঠন হওয়ায় অল্প কিছু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে, বিভিন্ন ইস্যুতে কমবেশি ২০০ জনকে বহিষ্কার এবং আরও ৩০০ জনকে শোকজ করে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। ছাত্রদল শোডাউন, স্লোগাননির্ভর রাজনীতি থেকে বের হয়ে এসে পলিসিনির্ভর রাজনীতি করছে। আমরা তারেক রহমানের ঘোষিত রাষ্ট্র সংস্কারের ৩১ দফা নিয়ে ছাত্র ও জনগণের কাছে ছুটে যাচ্ছি। আমরা সবার কাছ থেকে পজিটিভ রেসপন্স পাচ্ছি। ছাত্ররাজনীতি না থাকলে পতিত ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে এবং গোপন সংগঠনগুলোর তৎপরতা বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন নাছির উদ্দীন নাছির। তিনি জানান, বিশ্বিবদ্যালয়ে সুস্থ ধারার রাজনীতি করার সুযোগ তৈরি করার দায়িত্ব প্রশাসনের। সর্ববৃহৎ ছাত্রসংগঠন হিসেবে আমরা এক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতা করব।
মন্তব্য করুন