গণহত্যায় জড়িত রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের নিষিদ্ধ করা এবং তারা যাতে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ চান গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর।
সোমবার (০৪ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির লিয়াজোঁ কমিটির সাথে গণঅধিকার পরিষদের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি এ আহ্বান জানান ভিপি নুর। বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত এই বৈঠক হয়।
নুরুল হক নুর বলেন, প্রায় তিন মাস হলো অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের তিন হাজার অপরাধীকেও গ্রেপ্তার করেনি। এটা খুবই অ্যালার্মিং।
তিনি আরও বলেন, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো বলেছে- ২০১৪, ’১৮ ও ’২৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জনগণকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। গণতন্ত্রের বাইরে গিয়ে তিনটি মনগড়া নির্বাচন করেছে তারা। কাজেই আওয়ামী লীগ অন্তত আগামী তিনটি নির্বাচনের বাইরে থাকবে- এটা কমন ইকুয়েশনের মতো একটা বিষয়। কিন্তু তারপরও আমরা বলেছি যে, সেটার দিকে না গিয়ে আমরা আইনের মাধ্যমে একটা বাস্তবায়ন চায় যে- গণহত্যায় জড়িত রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের নিষিদ্ধ করা এবং তারা যাতে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, আমরা দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ প্রকাশের দাবি জানায়। আমরা চাই, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের আগে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার কাজগুলো করুক। এ ব্যাপারে তাদের প্রতি রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন রয়েছে। তারা সরকারকে সহযোগিতা করবে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোকে দূরে রেখে কোনোভাবে রাষ্ট্র সংস্কার কার্যক্রম সম্ভব নয়।
বৈঠকে বিএনপির পক্ষে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ভাইস-চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ছিলেন। অন্যদিকে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে বৈঠকে রাশেদ খাঁন ছাড়াও দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য আবু হানিফ, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, ফাতেমা তাসনীম, কেন্দ্রীয় নেতা হাসান আল মামুন, অ্যাডভোকেট খালিদ হাসান উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন