রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ কার্তিক ১৪৩১
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

নতুন আঙ্গিকে বাকশাল করেছিলেন শেখ হাসিনা : রিজভী 

কথা বলছেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি : কালবেলা
কথা বলছেন রুহুল কবির রিজভী। ছবি : কালবেলা

শেখ হাসিনা বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাবেক সেনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ দাবি করেন।

রিজভী বলেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনকালে বিচারকদের অনেকেই রাজনীতিবিদদের মতো কথা বলেছেন। সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের কথা শুনে মনে হতো তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, না কি সুপ্রিম কোর্টের বিচারক- আমরা তার মধ্যে কোনো পার্থক্য দেখতে পাইনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা তো দেখেছি, প্রধান বিচারপতিকে তরবারি উপহার দিচ্ছেন সাবেক গোয়েন্দা বাহিনীর প্রধান। ছাত্রলীগের ছেলেরা গিয়ে ফুল দিচ্ছে প্রধান বিচারপতিকে। পৃথিবীতে কোথাও নজির আছে এই ধরনের ঘটনার? অর্থাৎ এটাই হচ্ছে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী সরকার। কর্তৃত্ববাদী সরকার তার কর্তৃত্ব নিশ্চিত করতে গিয়ে আইন, বিচার, প্রশাসন সবকিছুকে একাকার করেছিলেন। শেখ হাসিনা ঠিক বাকশালকে নতুন আঙ্গিকে করেছিলেন। বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, একদিকে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে, অন্যদিকে বহুদলীয় গণতন্ত্রকে নিশ্চিত করতে হবে। এই দুটিকে সামনে রেখেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। সীমান্তে হত্যা হচ্ছে প্রতিদিন। একদিন-দুইদিন পর পর ঠাকুরগাঁওয়ের সীমান্ত, লালমনিরহাটের সীমান্ত, হবিগঞ্জের সীমান্ত রক্তাক্ত হচ্ছে। ফেলানীর মতো অনেক কিশোরীর লাশ কাঁটাতারের উপর ঝুলেছে। কিন্তু বিগত সরকার তার একটা প্রতিবাদ পর্যন্ত করতে পারেনি। পার্শ্ববর্তী দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এই কাজগুলো করছে। এতটাই নতজানু ছিলেন শেখ হাসিনা, সীমান্ত রক্তাক্ত হলেও একটা প্রতিবাদ করতেও সাহস পাননি। অন্যদিকে নিজের দেশের গণতন্ত্রের জন্য যারা কথা বলেছে, তাদের জায়গা হয়েছে আয়নাঘরে, অথবা তাদেরকে বছরের পর বছর কাটাতে হয়েছে কারাগারে।

এ ছাড়া তিনি বলেন, এ দেশের গণতন্ত্রের জন্য যিনি আজীবন লড়াই-সংগ্রাম করেছেন, সেই বেগম খালেদা জিয়াকে একটি জরাজীর্ণ কারাগারের মধ্যে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছিল কারাগারে বছরের পর বছর। সে রকম পরিস্থিতি যেনো বাংলাদেশে আর না হয় সেই কারণে আইনের শাসন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে।

এসময় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত জহুরুল হক, কর্নেল (অব.) তৌহিদ পাঠান, কর্নেল (অব.) আব্দুল হক, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) হাসিনুল রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রাজধানীতে ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞান প্রজেক্ট প্রদর্শনী

ফিরে গেল জাইকা, অনিশ্চয়তায় র‌্যাপিড পাস সুবিধা

ব্যবসায়ী হত্যা মামলায় ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার

খুলনায় জাতীয় পার্টির অফিস ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

মাদক কারবারিদের হামলায় পোশাক ব্যবসায়ী নিহত

অধিনায়কত্ব নিয়ে নিজের ভাবনা জানালেন তাসকিন

মানুষের সঙ্গে কোনো অন্যায় করা যাবে না : মুন্না

তাওহীদি জনতার বাধায় পণ্ড মেহজাবীনকে দিয়ে শোরুম উদ্বোধন

আন্দোলনে নিহত / সাব্বিরের পরিবারে হাসি ফোটালেন সাবেক এমপি কায়কোবাদ

দুর্নীতি-দখলবাজমুক্ত দেশ গড়তে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ : নয়ন

১০

এপ্রিলে বিয়ে, আগস্টে শহীদ হন ছাত্রদলের রাব্বি  

১১

আওয়ামী অপশক্তির অপতৎপরতা নস্যাতে জাতি প্রস্তুত : এহসানুল হুদা

১২

চকরিয়ায় বনভূমি রক্ষায় জনসচেতনতামূলক মাইকিং

১৩

হাতি ও গাধা কীভাবে আমেরিকার নির্বাচনী প্রতীক হলো

১৪

নিউক্যাসলের কাছে হারে আর্সেনালের শিরোপা স্বপ্নে ধাক্কা

১৫

আ স ম রবকে সহযোগিতার চিঠি, স্থানীয় বিএনপিতে ‘ভয়’

১৬

নতুন আঙ্গিকে বাকশাল করেছিলেন শেখ হাসিনা : রিজভী 

১৭

এবার যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েলকে হুমকি দিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

১৮

আওয়ামী লীগের মাতৃভূমি হচ্ছে ভারত : আতাউর রহমান ঢালী

১৯

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি / স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতি রোধ করে বরাদ্দ বাড়ানো দরকার : ডা. তাহের

২০
X