বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, দ্রব্যমূল্যের বাজারে গত ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার সিন্ডিকেট করে নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু সেই আওয়ামী সিন্ডিকেটগুলো অদৃশ্য থেকে এখনো নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে চলেছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর পল্লবীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলব্দি গ্রামে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এর পক্ষ থেকে দুস্থ ও অসহায় মানুষদের মাঝে মেহমানদারি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমিনুল হক অন্তবর্তী সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা অতি দ্রুত সময়ের ভিতরে এই সিন্ডিকেটগুলো চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনুন। দেশের অসহায় মানুষের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসুন।
তিনি আরও বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী সরকার কর্তৃক যে সকল ভাইদের গুম করা হয়েছে, হত্যা করা করেছে, জুলাই-আগস্টে ছাত্র এবং জনতার গণঅভ্যুত্থানে যে সকল ছাত্র ভাইদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, সাধারণ মানুষ এবং বিএনপির নেতাকর্মীদের যেভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে সেই রক্তের দাগ কিন্তু এখনও শুকায়নি। রক্তের দাগ শুকানোর আগেই দ্রুত সময়ের ভিতরে এসব হত্যার সঙ্গে জড়িত স্বৈরাচার শেখ হাসিনাসহ তার মন্ত্রী-এমপি এবং প্রশাসনের আজ্ঞাবহ যেসব কর্মকর্তা ছিলেন, তাদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত বিচার করুন। বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গত ১৭ বছরে আওয়ামী দুঃশাসনকালে মসজিদের ঈমাম-খতিবদের বলে দেওয়া হতো, কী দোয়া করবেন আর কোনটা করবেন না! দোয়া করার কারণে অনেক ঈমাম ও খতিব সাহেবদের মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার ও নির্যাতিত হতে হয়েছে। আমরা এখন মসজিদের ঈমান ও খতিব সাহেবদের মন খুলে দোয়া করতে বলি। এখন দোয়া করার জন্য আর মামলা, হামলা ও নির্যাতন করা হবে না, আল্লাহর ঘরে সবাই আসবে। আমিনুল হক বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে দেশের সিটি করপোরেশনগুলো সঠিক মানের কীটনাশক স্প্রে ব্যবহার করছে না। সঠিক মানের ভেজালমুক্ত ঔষধ দিয়ে ডেঙ্গুর প্রকট কমিয়ে আনা সম্ভব হতো। এ বিষয়টিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সদস্য মাহাবুব আলম মন্টু, স্বেচ্ছাসেবক দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মহসিন সিদ্দিকী রনি, সাবেক কাউন্সিলর সাজ্জাদ হোসেন, পল্লবী থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক কামাল হুসাইন খান, যুবদল পল্লবী থানার সভাপতি হাজী নূর সালাম, সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ নেতারা।
মন্তব্য করুন