রাজধানীর কাকরাইলে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ২ নভেম্বর জাতীয় পার্টির পূর্ব ঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশকে প্রতিহত করবে গণঅধিকার পরিষদ। শুক্রবার (১ নভেম্বর) দলটির উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও মহাসচিবসহ পার্টি নেতাকর্মীদের নামে হওয়া মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের দাবিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় দলটি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটি জানায় শনিবার (২ নভেম্বর) দুপুর ২টায় জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় কাকরাইল চত্বরে সমাবেশ করা হবে।
এদিকে বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কাকরাইলে অবস্থিত জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদকে দায়ী করে জাতীয় পার্টি।
এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ কালবেলাকে বলেন, ছাত্র জনতার সঙ্গে জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কার্যালয় আমিসহ গণঅধিকার পরিষদের বেশ কয়েকজন (৩১ অক্টোবর) গিয়েছিলাম। কিন্তু আগুন দেওয়ার ঘটনায় গণঅধিকার পরিষদ যুক্ত নয়।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের গত ১৫ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সহযোগিতা করেছে জাতীয় পার্টি। এজন্য আওয়ামী লীগের কাজের দায়ভার জাতীয় পার্টিকেও নিতে হবে। আমরা মনে করি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের গণহত্যার মামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টিকে বাংলাদেশের মাটিতে রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগের দোসর ঘোষণা দিয়ে প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। ওই ঘটনার পর রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সমন্বয়ক সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির ঘোষণার পর সারজিস আলম রংপুরে গেলে লাঠি ও ঝাড়ু মিছিল করে প্রতিবাদ জানায়। এরপর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
এদিকে রাজধানীর পাইওনিয়ার রোডস্থ ৬৬নং ভবন, পাইওনিয়ার রোড, কাকরাইলসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ২ নভেম্বর যে কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) ঢাকা মেট্রেপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. মাইনুল হাসানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
মন্তব্য করুন