গার্মেন্টস শ্রমিক আন্দোলনের নামে সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগকারীরা পতিত সরকারের প্রেতাত্মা বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, একটি মহল গার্মেন্টস পোশাক শ্রমিক আন্দোলনের নামে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর গাড়িতে আগুন দিয়ে যে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করেছে তা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের আন্দোলন সংগ্রাম হতে পারে কিন্তু সেটা ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড অগ্নিসংযোগ ও রাষ্ট্রীয় স্থাপনা ধ্বংস করার মতো কোনো কর্মসূচি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। যে বা যারা সেনাবাহিনী ও পুলিশের গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দীর্ঘদিন পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের পিছনে কোনো উস্কানি বা ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রেতাত্মারা কলকাঠি নাড়ছে কি না গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তা গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ ছাড়া তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনের সার্চ কমিটি অত্যন্ত বিচক্ষণতার সঙ্গে সার্চিং করে এমন একটি নির্বাচন কমিশন উপহার দিবে যারা সর্বমহলের কাছে গ্রহণযোগ্য ও বিতর্কমুক্ত হবে। বিগত ১৬ বছরে এই নির্বাচন কমিশনের মত একটি সংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছিল। দেশের নাগরিকের আস্থা অর্জন করতে যে কমিশন চরমভাবে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, আশা করব, জুলাইয়ের রক্তার্জিত নতুন বাংলাদেশে আর কখনো সে অবস্থার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না।
মাওলানা ইউনুস আহমাদ দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন, পৃথিবীর ১৭১টি রাষ্ট্রের মধ্যে ৯১টি রাষ্ট্রে চজ সিস্টেম বা সংখ্যানুপাতিকহারে নির্বাচন প্রচলিত আছে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথে অন্তরায় হচ্ছে কালো টাকা ও পেশিশক্তি। নির্বাচনে অবৈধ প্রভাব, এলাকাবৃত্তি প্রার্থীকে নিয়ে অতিশয় মাতামাতি, অথচ পিআর সিস্টেমে জনগণ মতামত দিবে দল এবং মার্কাকে কোনো ব্যক্তিকে নয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পিআর সিস্টেম সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য একটি পদ্ধতি।
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিটি এ বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবে বলে মহাসচিব আশা প্রকাশ করেন।
মন্তব্য করুন