সরকারকে টেকসই সংস্কার ও নির্বাচন কার্যক্রম দৃশ্যমান করা দরকার বলে মনে করেন খেলাফত মজলিসের নেতারা।
তারা বলেন, মানবাধিকার বা অন্যকোনো ইস্যুতে বিদেশি কোনো সংস্থার সাথে দেশ-জনগণের স্বার্থ পরিপন্থি কোনো চুক্তি বা সমঝোতা করবে না বলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণ প্রত্যাশা করে।
নেতারা বলেন, বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধকে কোনোভাবেই বিসর্জন দেওয়া যাবে না। এখানে জাতিগত কোনো সংকট নেই। অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশের নিজস্ব আইন, বিচারব্যবস্থাসহ প্রশাসনের সকল বিভাগ সক্রিয় রয়েছে।
তারা আরও বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে বাজার মনিটরিং আরও জোরদার এবং সিন্ডিকেট দৌরাত্ম্য ভেঙে দিতে হবে। পলাতক স্বৈরাচার শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকার সংস্কার কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমিরে মজলিস মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাহী সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমির মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, অধ্যাপক মো. আবদুল জলিল, ডা. রিফাত হোসেন মালিক, প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, খন্দকার শাহাবুদ্দিন আহমদ, মুফতি আবদুল হক আমিনী, ডা. আবদুর রাজ্জাক, মো. জহিরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শায়খুল ইসলাম, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, হাজী নূর হোসেন, আলহাজ আবু আদিবা, হাফেজ নুরুল হক, আবুল হোসেন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন