ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ বিগত ১৬ বছরে ভোটাধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত ছিলেন। তারা নিজেদের পছন্দসই প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেনি। বিশেষ করে নতুন ৬ কোটি ভোটার মুখিয়ে আছে ভোট দেওয়ার জন্য। পিআর সিস্টেম নির্বাচনের মাধ্যমেই জনমতের শতভাগ প্রতিফলন ঘটানো সম্ভব।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহকারী মহাসচিব মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, কৃষিবিদ আফতাব উদ্দিন, প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, হারুন অর রশিদ, মাওলানা মোহাম্মদ নেছার উদ্দিন, মাওলানা এবিএম জাকারিয়া, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, আব্দুল আউয়াল মজুমদার।
‘অন্তবর্তী সরকার নির্বাচনী যাত্রা শুরু করেছে’ আইন উপদেষ্টার এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ইউনুছ আহমাদ বলেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি গঠনে স্টেকহোল্ডার তথা রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতকে গুরুত্বসহ আমলে নিতে হবে। সীমানা নির্ধারণ ও নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন করতে হবে। কালোটাকা ও পেশিশক্তিবিহীন নির্বাচনের জন্য অনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে।
মাওলানা ইউনুছ আহামদ ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খোলার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, অন্তবর্তী সরকার সংস্কারের মাধ্যমে একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের আয়োজন করবে। কোনো স্পর্শকাতর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের কাজ নয়। ১০ বছর চেষ্টা চালিয়ে শ্রীলঙ্কায় মানবাধিকারের কান্ট্রি অফিস খুলতে তারা ব্যর্থ হয়। ৩৬ জুলাই-এর অভ্যুত্থানের পর নানা দেশি-বিদেশি চক্রান্ত সক্রিয়। বাংলাদেশে জাতিগত কোনো সংঘাত হয়নি যে, জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস খুলতে হবে। তাছাড়া ওই অফিসের বিরুদ্ধে দেশে দেশে সমকামিতার প্রমোট করার অভিযোগ রয়েছে।
সভায় ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে সমকামিতার প্রমোট করার মতো জঘন্য ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়।
মন্তব্য করুন