জুলাই গণহত্যার বিচার হওয়ার আগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না সে বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্কের সঙ্গে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, যারা (আওয়ামী লীগ) হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে, ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষকে অঙ্গহানি করেছে এবং এখনো তারা ওটার পক্ষে কথা বলছে। সাধারণ মানুষ তাদের গ্রহণ করবে বলে মনে হয় না।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা গণহত্যা মামলার আসামি। অথচ অন্য দেশে বসে হুমকি দিচ্ছে। আমার মনে হয় না বাংলাদেশের মানুষ একসেপ্ট করবে এই দলকে। বিচার প্রক্রিয়ার পরে দেখা যাবে, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়।
উপদেষ্টা বলেন, যে দল এখনো গণঅভ্যুত্থানের নেতাদের কিশোর গ্যাং বলার চেষ্টা করে এবং সুযোগ পেলে আরও মানুষকে হত্যা করার হুমকি দেয়, তাদের রাজনৈতিক অধিকার থাকা উচিত কি না এ প্রশ্ন বাংলাদেশের প্রত্যেকটা বিবেকবান মানুষের কাছে থাকল।
বৈঠকের বিষয়ে আসিফ নজরুল বলেন, বৈঠকে মানবাধিকার বিষয়কে গুরুত্ব ও মানবাধিকার কমিশন শক্তিশালী করার কথা বলেছেন টুর্ক। আইনি সব সহযোগিতা করবে মানবাধিকার সংস্থা। মৃত্যুদণ্ড বাতিল করার কোনো সুযোগ আছে কি না এ বিষয়ে জানতে চেয়েছেন তিনি।
সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আওয়ামী লীগসহ ১১ দলকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত রাখার অন্তর্বর্তী নির্দেশনা চেয়ে একটি রিট মামলাও করেছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের তিনজন, তবে সেগুলো আপাতত না চালানোর কথা আদালতকে জানিয়েছেন তাদের আইনজীবী।
মন্তব্য করুন