বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সরকারের উদ্দেশে বলেছেন, ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। সময় নষ্ট না করে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার ও নির্বাচন দিন। নতুন ইস্যু টেনে এনে সংস্কার, নির্বাচন ও গণতন্ত্রের পথ প্রলম্বিত এবং জাতীয় ঐক্য ও সংহতি বিনষ্ট না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যৌক্তিক সময় পার হয়ে গেলে দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন ও গণতন্ত্রহীন জনগণের ধৈর্যের বাঁধ ধরে রাখা যাবে না।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে গাজীপুর মহানগরীর সদর মেট্রো থানার সালনায় জানজালিয়া ঈদগাহ মাঠে গাজীপুরে কর্মরত ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার অধিবাসীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রিন্স এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় রাষ্ট্রপতি নিয়ে নতুন বিতর্ক সৃষ্টির কথা উল্লেখ করে এমরান সালেহ প্রিন্স বলেন, সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হলে এর মধ্যে পরাজিত শক্তিসহ দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সুযোগসন্ধানী স্বার্থান্বেষী মহল অপউদ্দেশ্য হাসিল করে গণআকাঙ্ক্ষা নস্যাৎ করতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে মোঃ সাহাবুদ্দিনের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ থাকলেও যেভাবেই হোক সাংবিধানিকভাবে তিনি বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট। তাকে অপসারণ করার সাংবিধানিক পদ্ধতিও বিদ্যমান নেই। অন্য কোনো উপায়ে অপসারণ করতে গেলে সাংবিধানিক সংকট বা শূন্যতার সৃষ্টি হতে পারে, যা কাঙ্ক্ষিত নয়। তিনি আরও বলেন, গণহত্যাকারী এবং গণতন্ত্র হরণকারী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গণশত্রু। তাদের কোনো ক্ষমা নেই। ভারতে রাষ্ট্রীয় আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে শেখ হাসিনা যতই আরাম-আয়েশ করুন না কেন, বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে তাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। আওয়ামী লীগের শরীরে ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ। আওয়ামী লীগকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, গণহত্যার জন্য এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো অনুশোচনা নেই। উল্টো তারা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে দায় চাপিয়ে হুঙ্কার দিচ্ছে। তিনি সরকারের প্রতি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
গাজীপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শওকত হোসেন সরকারের সভাপতিত্বে ও বাসন থানার সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শুক্কুর মাহমুদ ববি, গাজীপুর মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ সুরুজ আহমেদ, ভিপি জয়নাল আবেদীন তালুকদার, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আনিসুর রহমান মানিক, মোয়াজ্জেম হোসেন খান লিটন, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান, ময়মনসিংহ উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আবদুল আজিজ খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মন্তব্য করুন