কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৭ মার্চের তাৎপর্য অনুধাবনের সীমাবদ্ধতা হবে আত্মঘাতী : রব

আ স ম আবদুর রব। পুরোনো ছবি
আ স ম আবদুর রব। পুরোনো ছবি

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের তাৎপর্য ও মহিমাকে কোনো অজুহাতে খর্ব না করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেছেন, ৭ মার্চের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং ঐতিহাসিকতাকে অনুধাবন করার সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতা হবে আত্মঘাতী।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল আহসান অপু প্রেরিত এক বিবৃতিতে রব এ কথা বলেন।

জেএসডির সভাপতি বলেন, স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার ‘বীজমন্ত্র’ এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। ১১০০ বছরের পরাধীনতার শিকল ভেঙে বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক মহৎ অধ্যায় হচ্ছে ৭ মার্চ। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ চূড়ান্ত লড়াইয়ের এই নির্দেশনায় অকুতোভয় বাঙালি এবং সর্বস্তরের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তি সংগ্রামে।

তিনি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের দুঃখ-বেদনা, বঞ্চনা এবং ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে রাখার ইতিহাসকে ধারণ করে, এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠীর মনের গভীরে স্বাধীনতা অর্জনের সামগ্রিক আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরে, গণমানুষের অভিপ্রায়ের চরম অভিব্যক্তি প্রকাশ পায় ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে। যা সমগ্র জনগোষ্ঠীকে তার মর্মমূলসমেত গভীরভাবে আবেগকম্পিত, উদ্দীপ্ত এবং জাগ্রত করে তুলেছিল। এই ভাষণের সাথে স্বাধীন রাষ্ট্র নির্মাণের মূল পরিকল্পনাকারী সিরাজুল আলম খানসহ অন্যরা সম্পৃক্ত ছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালির জাতীয় জীবনের একটি অবিস্মরণীয় দিন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতা-সংগ্রাম ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের আপসহীন নেতা। আসম রব বলেন, ৭১-এর ২ মার্চ ‘স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন’, ৩ মার্চ ‘ইশতেহার পাঠ’, ৭ মার্চ-এর ভাষণ এবং সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন ‘স্বাধীনতা’ একই সূত্রে গাঁথা। সুতরাং স্বাধীনতার পরবর্তীতে গণআকাঙ্ক্ষাবিরোধী শাসন ক্ষমতা বা অপকর্মের দায়-দায়িত্বের নিরিখে স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এবং অসামান্য বীরত্বকে অস্বীকার করা হবে সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের অন্তর্নিহিত সত্যকে আড়াল করা।

অতএব, ৭ মার্চের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং ঐতিহাসিকতাকে অনুধাবন করার সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতা হবে আত্মঘাতী। এ ধরনের অদূর ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত এবং অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম সংগ্রামী জনগণ মেনে নেবে না। রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মৌলিক করণীয় উপেক্ষা করে, সরকার নতুন-নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করলে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শক্তির মাঝে বিভেদ তৈরি করবে। বিবৃতিতে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জুলাই গণহত্যার মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বর্তমান প্রজন্মের সাথে পূর্ব প্রজন্মের অসম সাহসী বীরদের মহৎকীর্তিকে স্বীকৃতি দিয়েই নতুন প্রজাতন্ত্র নির্মাণ করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

গাজার যোদ্ধাদের নতুন প্রধান নিহত

ধেয়ে আসছে ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’

যেখানে মানবতার বিপর্যয় সেখানেই জামায়াতে ইসলামী : ডা. শফিকুর রহমান 

পরিবারসহ সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামানের সম্পদ জব্দের আদেশ

বিএনপিকে ঠেকাতে গিয়ে হাসিনাকে দেশ ছেড়ে পালাতে হয়েছে : সালাম

‘এসকে ট্রিমসের সঙ্গে মতিউরের কোনো সম্পর্ক নেই’ 

‘৩৬ জুলাই’ পর্যন্ত নিহতদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের নির্দেশ

হাসিনা কখনো দেশের মানুষের জন্য রাজনীতি করেননি : নিরব

তিন দপ্তরে নতুন মহাপরিচালক নিয়োগ 

কসবায় কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

১০

‘মধ্যবয়সীদের মৃত্যুর জন্য প্রধান দায়ী ট্রমা’

১১

পুলিশের আরও চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের অনুমতি

১২

সাকিবকে যে কারণে দেশে আসতে নিরুৎসাহিত করেছেন উপদেষ্টা আসিফ

১৩

অতিরিক্ত নেতাকর্মীর চাপে ভেঙে পড়ল বিএনপির মঞ্চ

১৪

ডিম আমদানিতেও শুল্ক ছাড়

১৫

‘১৬ বছর দেশ ধ্বংসের রাজনীতি করেছে আ.লীগ’

১৬

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে বিএনপির রিভিউ আবেদনে ১০ যুক্তি 

১৭

হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদের ঊর্ধ্বে ছিলেন আবদুল করিম : সলিমুল্লাহ খান

১৮

মানুষের জন্য ভালো কিছুর অবদান রাখুন, নেতাকর্মীদের মুন্না

১৯

ফুলবাড়ীতে বউ মেলা, ঢুকতে পারেননি পুরুষরা

২০
X