শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৮:৩৯ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

৭ মার্চের তাৎপর্য অনুধাবনের সীমাবদ্ধতা হবে আত্মঘাতী : রব

আ স ম আবদুর রব। পুরোনো ছবি
আ স ম আবদুর রব। পুরোনো ছবি

ঐতিহাসিক ৭ মার্চের তাৎপর্য ও মহিমাকে কোনো অজুহাতে খর্ব না করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। তিনি বলেছেন, ৭ মার্চের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং ঐতিহাসিকতাকে অনুধাবন করার সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতা হবে আত্মঘাতী।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দলের দপ্তর সম্পাদক কামরুল আহসান অপু প্রেরিত এক বিবৃতিতে রব এ কথা বলেন।

জেএসডির সভাপতি বলেন, স্বাধীন জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ছিল স্বাধীনতার ‘বীজমন্ত্র’ এবং সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণা। ১১০০ বছরের পরাধীনতার শিকল ভেঙে বাঙালির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার স্বপ্ন বাস্তবায়নের এক মহৎ অধ্যায় হচ্ছে ৭ মার্চ। ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ চূড়ান্ত লড়াইয়ের এই নির্দেশনায় অকুতোভয় বাঙালি এবং সর্বস্তরের মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মুক্তি সংগ্রামে।

তিনি বলেন, বাঙালির হাজার বছরের দুঃখ-বেদনা, বঞ্চনা এবং ক্ষমতার কেন্দ্র থেকে দূরে রাখার ইতিহাসকে ধারণ করে, এই ভূখণ্ডের জনগোষ্ঠীর মনের গভীরে স্বাধীনতা অর্জনের সামগ্রিক আকাঙ্ক্ষাকে তুলে ধরে, গণমানুষের অভিপ্রায়ের চরম অভিব্যক্তি প্রকাশ পায় ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে। যা সমগ্র জনগোষ্ঠীকে তার মর্মমূলসমেত গভীরভাবে আবেগকম্পিত, উদ্দীপ্ত এবং জাগ্রত করে তুলেছিল। এই ভাষণের সাথে স্বাধীন রাষ্ট্র নির্মাণের মূল পরিকল্পনাকারী সিরাজুল আলম খানসহ অন্যরা সম্পৃক্ত ছিলেন। ঐতিহাসিক ৭ মার্চ বাঙালির জাতীয় জীবনের একটি অবিস্মরণীয় দিন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন স্বাধীনতা-সংগ্রাম ও বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের আপসহীন নেতা। আসম রব বলেন, ৭১-এর ২ মার্চ ‘স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন’, ৩ মার্চ ‘ইশতেহার পাঠ’, ৭ মার্চ-এর ভাষণ এবং সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বাঙালির শ্রেষ্ঠ অর্জন ‘স্বাধীনতা’ একই সূত্রে গাঁথা। সুতরাং স্বাধীনতার পরবর্তীতে গণআকাঙ্ক্ষাবিরোধী শাসন ক্ষমতা বা অপকর্মের দায়-দায়িত্বের নিরিখে স্বাধীনতা অর্জনের লড়াইয়ের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা এবং অসামান্য বীরত্বকে অস্বীকার করা হবে সশস্ত্র মুক্তিসংগ্রামের অন্তর্নিহিত সত্যকে আড়াল করা।

অতএব, ৭ মার্চের গুরুত্ব, তাৎপর্য এবং ঐতিহাসিকতাকে অনুধাবন করার সীমাবদ্ধতা ও ব্যর্থতা হবে আত্মঘাতী। এ ধরনের অদূর ও অপরিণামদর্শী সিদ্ধান্ত এবং অপ্রয়োজনীয় কার্যক্রম সংগ্রামী জনগণ মেনে নেবে না। রাষ্ট্রীয় সংস্কারের মৌলিক করণীয় উপেক্ষা করে, সরকার নতুন-নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করলে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শক্তির মাঝে বিভেদ তৈরি করবে। বিবৃতিতে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জুলাই গণহত্যার মধ্য দিয়ে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে বর্তমান প্রজন্মের সাথে পূর্ব প্রজন্মের অসম সাহসী বীরদের মহৎকীর্তিকে স্বীকৃতি দিয়েই নতুন প্রজাতন্ত্র নির্মাণ করতে হবে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

টাইম ম্যাগাজিনকে ড. ইউনূস / ট্রাম্প ব্যবসায়ী, আমরাও একজন ব্যবসায়িক অংশীদার চাই

২০২৪ সালের হাইয়েস্ট কালেকশন দরদের : শাকিব 

নায়িকা পরীমনির প্রথম স্বামী নিহত

রাজনীতিতে আ.লীগের পুনর্বাসন ঠেকাতে হবে: নুর

নির্বাচন যত দ্রুত হবে, সমস্যা তত কমে আসবে : মির্জা ফখরুল

খাসজমির দখল নিয়ে সংঘর্ষে দুজন নিহত

মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ক্রীড়াঙ্গন অন্যতম একটি মাধ্যম : আমিনুল হক 

তারেক রহমানের আর্থিক সহায়তা নিয়ে সিয়ামের বাড়িতে মীর হেলাল

আহত রানার পাশে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’

ফেসবুকে দাবি ‘মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ একই ব্যক্তি’, যা বলছে ফ্যাক্ট চেক

১০

একদিকে প্রশান্তি, অশান্তিও বিরাজ করছে: শামা ওবায়েদ

১১

চোর সন্দেহে খুঁটিতে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

১২

র‍্যানকন মটরসের সঙ্গে ক্র্যাক প্লাটুন চার্জিং সলুশনের চুক্তি

১৩

জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য : নয়ন

১৪

‘এক ফ্যাসিস্টকে হটিয়ে আরেক ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না’

১৫

জুলাই বিপ্লবে আহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাবুকে নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

১৬

মাদকাসক্ত ছেলেকে কারাগারে দিলেন মা

১৭

কপ২৯-এর এনসিকিউজি টেক্সট হতাশাজনক : পরিবেশ উপদেষ্টা

১৮

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিরাপদ থাকবে যেসব দেশ

১৯

সাভারের তরুণীর টানে ঢাকায় কোরিয়ান যুবক

২০
X