কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৮ পিএম
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:০৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মতিয়া চৌধুরীর জানাজা বৃহস্পতিবার

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। ছবি : সংগৃহীত

বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরীর জানাজা আগামীকাল বৃহস্পতিবার বাদ জোহর গুলশান আজাদ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে দাফন করা হবে শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রয়াত মতিয়া চৌধুরীর ভাই মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী।

মাসুদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে নতুন জায়গা চাওয়া হয়েছে সিটি কররপোরেশনের কাছে। জায়গা পেলে সেখানে দাফন করা হবে, না পেলে তার স্বামী বজলুর রহমানের কবরে দাফন হবে। এলাকার মানুষের দাবি থাকলেও দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মতিয়া চৌধুরীকে নিজের নির্বাচনী এলাকায় নেওয়া হবে না।

প্রসঙ্গত, মতিয়া চৌধুরী বুধবার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরী প্রশ্নবিদ্ধ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর মন্ত্রীর মর্যাদা পেয়েছিলেন। আওয়ামী লীগ আমলের সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুর পর একাদশ জাতীয় সরকারের মেয়াদে সংসদের উপনেতার দায়িত্বে ছিলেন বেগম মতিয়া।

মতিয়া চৌধুরীর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩০ জুন পিরোজপুর জেলায়। তার বাবা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা এবং মা নুরজাহান বেগম ছিলেন গৃহিণী। ব্যক্তিজীবনে ১৯৬৪ সালের ১৮ জুন খ্যাতিমান সাংবাদিক বজলুর রহমানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার রাজনৈতিক জীবন শুরু হয় বামপন্থি রাজনীতি দিয়ে। তিনি ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) সদস্য ছিলেন। ইডেন কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি নির্বাচিত হন। ‘অগ্নিকন্যা’ নামে পরিচিত মতিয়া চৌধুরীকে জেলে থাকা অবস্থায় পূর্ব পাকিস্তান ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, কৃষক সমিতির সদস্য করা হয়। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে ভারতে গিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে সেখানকার নারী নেত্রীদের নিয়ে জনমত তৈরি করেন। এভাবেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, প্রচারণা, যোগাযোগ এবং আহতদের শুশ্রূষায় সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সময়কালে তিনি বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগে যোগ দেন।

১৯৯৬ ও ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ শাসনামলে কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন মতিয়া চৌধুরী। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি তাকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ প্রদান করে। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হলে সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

লামায় কালবেলার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি উদযাপন

বাংলাদেশের জলসীমা থেকে দুটি বিদেশি ফিশিং ট্রলার আটক

একযুগ পর দেশে ফিরছেন কয়ছরসহ যুক্তরাজ্য বিএনপির ৮৫ নেতা 

মিরপুর টেস্টে সাকিবের অন্তর্ভুক্তির কারণ ব্যাখ্যা বিসিবির

মিয়ানমারে দফায় দফায় বিস্ফোরণ, টেকনাফের ঘরবাড়িতে ফাটল

জনগণের ভালোবাসা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব : নয়ন

জিয়া পরিবার বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য : জিলানী

৮ জাতীয় দিবস বাতিল করে আদেশ জারি

নানির সন্ধান চাই 

‘কালবেলা দেশের গণমাধ্যম জগতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে’

১০

মতিয়া চৌধুরীর মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠনের শোক

১১

আনন্দঘন পরিবেশে নরসিংদীতে কালবেলার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

১২

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে বিএনপির রিভিউ 

১৩

উৎসব ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরা হবে ওয়েবসাইটে : জামিল আহমেদ

১৪

সাফল্যের দুই বছর / চট্টগ্রামে ভালোবাসায় সিক্ত কালবেলা

১৫

ভারতে পালানোর সময় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার

১৬

নাঙ্গলকোটে কালবেলার দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

১৭

বড় হচ্ছে উপদেষ্টা পরিষদ, একাধিক মন্ত্রণালয়ে রদবদলের সম্ভাবনা

১৮

মনোহরগঞ্জে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন / ‘স্বল্প সময়ে পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করেছে কালবেলা’

১৯

রাজবাড়ীতে কালবেলার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে কোরআন খতম ও দোয়া

২০
X