জাতীয়তাবাদী যুবদল সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর খবর প্রকাশের মাধ্যমে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে। একটি মহল বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করছে। আদতে যার কোনো ভিত্তি নেই।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) খুলনা জেলার এক যৌথ কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
‘স্বাধীনতার মূল চেতনা- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নতুন পথযাত্রায় জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দিক-নির্দেশনামূলক এই যৌথ কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়। সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক-সম্পাদক নাজমুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমানের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির, যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেকসহ খুলনা জেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মী।
শেষ ভালো যার সব ভালো তার এমন মন্তব্য করে মুন্না বলেন, গত ১৭ বছরে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পরিবারের চেয়ে বেশি নির্যাতনের শিকার আর কেউ হয়নি। তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবনযাপন করছেন। বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ওনারা তো তাদের নির্যাতনের কথা বলে না।
তিনি বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ গত ১৭ বছরে যত জুলুম-নির্যাতন করেছে তা বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না, কিন্তু বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে হয়নি এবং যায়নি। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের প্রত্যেকটি নেতাকর্মী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ ও স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার।
মুন্না বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর যে কোনো ধরনের নৈরাজ্য ও দখলদারিত্বসহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার নির্দেশে সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা দখল, চাঁদাবাজিসহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার রয়েছে।
বিএনপিতে কোনো সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারির ঠাঁই নেই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে নেতাকর্মীদের প্রতি মুন্না আরও বলেন, সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কেউ ফায়দা লুটার চেষ্টা করলে শক্ত হাতে তাকে দমন করা হবে। দলের জনপ্রিয়তা ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয় এমন কাজে জড়িয়ে পড়লে আমরা কিন্তু এক বিন্দুও ছাড় দিব না। যারা বিএনপির নামে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি করবে, তাদের পুলিশে ধরিয়ে দেবেন।
যুবদল সভাপতি অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, সব রাজনৈতিক, মিথ্যা, সাজানো মামলা প্রত্যাহারের কথা পরিষ্কার করতে হবে। গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
মন্তব্য করুন