কালবেলা প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৩৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

আদর্শ সমাজ গঠনে মুফাসসিরদের ভূমিকা অপরিসীম : ডা.শফিকুর রহমান

ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দেশবরেণ্য মুফাসসিরদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় মুফাসসির সম্মেলনে কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : কালবেলা
ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দেশবরেণ্য মুফাসসিরদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় মুফাসসির সম্মেলনে কথা বলেন ডা. শফিকুর রহমান। ছবি : কালবেলা

আদর্শ সমাজ গঠনে মুফাসসিরদের ভূমিকা অপরিসীম বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিনের উদ্যোগে সোমবার (১৪ অক্টোবর) সকালে ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে দেশবরেণ্য মুফাসসিরদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় মুফাসসির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, মুফাসসিররা হলো পথহারা জাতির পথ প্রদর্শক। সঠিক পথের সন্ধান দেওয়া জাতির প্রতি মুফাসসিরদের কোনো দয়া নয় বরং এটা তাদের দায়িত্ব। আপনারা জাতির রাহবার। অতীতে যারা এই দায়িত্ব আঞ্জাম দিয়েছেন আমরা তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। তারা কারও চোখ রাঙানিকে পরোয়া করেনি বরং প্রয়োজনে আল্লাহর রাস্তায় জীবনকে কোরবানি করে দিয়েছেন। কাজেই দ্বীন প্রচারের কাজে বাধা আসবেই সে বাধাকে মোকাবিলা করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।

তিনি বলেন, তাফসির মাহফিল থেকে জনগণ যে রুহানি খোরাক চায় সে বিষয়ে যারা তাফসির পেশ করেন তারা সচেতন আছেন। আপনাদের আরও একটু বেশি সচেতন হওয়ার আহ্বান জানাই। যদি আপনাদের বয়ানটা কুরআন, সুন্নাহ ও সাহাবিদের জীবনের আলোকে হয় তাহলে মানুষ এর থেকে শিক্ষা নিয়ে বাস্তব জীবনে আমল করতে পারবেন। তাছাড়া মুফাসসিরদের একেকটা বক্তব্য জাতির একেকটা মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এটা যুগেযুগে প্রমাণিত হয়েছে। কেন না ওলামারা কোটি কোটি মানুষের কলিজা, প্রাণ প্রিয় মানুষ ও আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক।

আল্লামা মাওলানা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদির স্মরণে তিনি বলেন, আজ তাকে আমার বড়ই মনে পড়ছে, এই ফুলের বাগানটা তিনিই সাজিয়ে গিয়েছেন। আজ তিনি থাকলে মনভরে দেখতে পারতেন। কারাগারে তার সঙ্গে আমার দুবার মোলাকাত হয়েছে, তার ইচ্ছা ছিল কোরআনের ময়দানে তিনি আবার ফিরে আসবেন ও পবিত্র কাবায় জিয়ারত করবেন। কিন্তু তিনি তার সবকিছু আল্লাহর রাস্তায় বিলিয়ে দিয়ে শাহাদাত বরণ করেছেন। আপনাদের তার রেখে যাওয়া কাজকে আঞ্জাম দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। তিনি এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আল্লামা হযরত মাওলানা লুতফর রহমানসহ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থেকে দ্বীন প্রচারের জন্য যারা শাহাদাত বরণ করেছেন, কারা নির্যাতিত হয়েছেন, মামলা হামলার স্বীকার হয়েছেন, আমি তাদের জন্য আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম প্রতিদান কামনা করছি।

সংঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক নুরুল আমিনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওলামা বিভাগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম খাঁন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের প্রধান উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রধান উপদেষ্টা মোহাম্মাদ সেলিম উদ্দিন, ছাত্র সংগঠনের সাবেক কেন্দ্রিয় সভাপতি সাইফুল আলম খান মিলন, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা যাইনূল আবেদীন, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আ ন ম রফিকুর রহমান, তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবু ইউছুফ, মাওলানা ড. সামিউল হক ফারুকী, মাওলানা আবুদস সামাদ, বাংলাদেশ মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি জেনারেল ড. খলিলুর রহমান মাদানী, অধ্যক্ষ মাওলানা শাহজাহান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উলামা বিভাগের সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, ঢাকা মহানগরী উত্তরের উলামা বিভাগের সভাপতি ড. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর আ ন ম রশিদ আহমদ আল মাদানী, মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস ড. আবুল কালাম আজাদ বাশার, ছারছিনার পীর শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী,আলহাজ্জ শামীম সাঈদী, মুফাসসিরে কোরআন মুফতি আমির হামজা ও আইম্মা উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি রেজাউল করিম আবরার। বিশেষ অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় যুগে যুগে আলেমদের ভূমিকা ছিল অপরিসীম। গত ৫ আগস্ট বিজয়েও আলেমদের ত্যাগ কোরবানি ছিল নজিরবিহীন। অনেক ইমাম খতিব বক্তারা জীবন দিয়েছেন, পঙ্গুত্ব বরন করেছেন, সারাজীবনের জন্য চোখ হারিয়েছেন যা ইতিহাস হয়ে থাকবে। আগামীর বাংলাদেশ গড়তে এই মুফাসসিরদের সব ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। তাছাড়া দ্বীনের একনিষ্ঠ খাদেম হিসেবে পরকালভিত্তিক জীবন পরিচালনা করতে হবে।

এ ছাড়া আরও বক্তব্য দেন, মাওলানা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমিন, মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, মাওলানা মুস্তাক ফয়েজি, মাওলানা লুৎফর রহমান, মাওলানা ফখরুদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মোমেন নাসেরী, মাওলানা নাসির উদ্দিন হেলালী, মাওলানা রুহুল আমীন, মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসান, মুহাদ্দিস আবু নছর আশরাফী, মাওলানা মাহমুদূর রহমান দেলওয়ার, মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী ও মাওলানা মুস্তাফিজ রহমানীসহ অন্য নেতারা।

সম্মেলনে দেশবরেণ্য শিল্পীদের মধ্যে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মশিউর রহমান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আজহারী, শিল্পী রোকোনুজ্জামান, শিল্পী কবির বিন সামাদ, শিল্পী নেয়ামতুল্লাহ নিজামী। এ ছাড়াও সম্মেলনে সারা দেশ থেকে আগত তিন হাজারের অধিক মুফাসসিরে কোরআন অংশগ্রহণ করেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

সাবেক কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক গ্রেপ্তার

স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়নে বিমা চালু করা প্রয়োজন

ঢাবি জনসংযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হলেন রফিকুল ইসলাম পান্না

ক্রীড়াঙ্গনে আরাফাত রহমান কোকোর অবদান অপরিসীম : বিএনপি নেতা আজাদ

আকাশ প্রতিরক্ষাকে ফাঁকি দিয়ে ইসরায়েলে ড্রোন হামলা

আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবকের কবজি বিচ্ছিন্ন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল : রিজভী

কোনো চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসী বিএনপির কর্মী নয় : নয়ন

সালিশি বৈঠকে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

সিলেটে চিনিকাণ্ডে বিএনপির ২ নেতা বহিষ্কার

১০

মালদ্বীপে বিমান পরিসেবায় সেরা বাংলাদেশি জাহিদুল ইসলাম

১১

বেশি দামে ডিম বিক্রি, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

১২

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মুর্তজা

১৩

আমরা খুব কম সময়ের মধ্যে নির্বাচন দেব : ধর্ম উপদেষ্টা

১৪

‘চলচ্চিত্র সার্চ কমিটি’র সঙ্গে এফডিসির ভুল বোঝাবুঝির অবসান 

১৫

ইনজুরি থেকে অবশেষে মাঠে ফিরছেন নেইমার

১৬

১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকা

১৭

‘রঙিলা কিতাব’ আসছে ৮ নভেম্বর

১৮

ইসলামী অর্থনীতি বিকাশে কাজ করছে জেনিথ ইসলামী লাইফ : কামালুদ্দিন জাফরী

১৯

বিভ্রান্তিকর খবরে বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে : মুন্না

২০
X