জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সদ্য সাবেক সদস্য সচিব আবদুর রহিম বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এ দেশে কোনো ধর্মীয় ভেদাভেদ বা সাম্প্রতিক বিরোধ সৃষ্টি হয়নি। বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সাম্প্রদায়িক উসকানি দিয়ে দেশের জনগণকে বিভক্ত করে রেখে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করে। পতিত স্বৈরাচারের দোসররা সনাতন ধর্মের লোকদের গোলক ধাঁধার মধ্যে রেখে প্রকারান্তরে তাদের জায়গা, জমি, বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করে নিয়েছে। সরকারের ছত্রছায়ায় বেড়ে ওঠা দুর্নীতিবাজ আমলা ও বিভিন্ন বাহিনীর কর্মকর্তা এবং ব্যবসায়ীরা রিসোর্ট, পার্ক, বাংলো বাড়ি, শিল্পপার্ক গড়ে তোলার জন্য নামমাত্র মূল্যে হিন্দুদের জমি দখল করে নিয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এক শ্রেণির নেতারাও এগুলো নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি। স্বৈরাচারের পতনের পর এসব চিত্র প্রকাশ পাচ্ছে।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের শনির আখড়ায় শনি মন্দির পরিদর্শনে গেলে আব্দুর রহিম এসব কথা বলেন।
আব্দুর রহিম রাষ্ট্রীয়ভাবে তদন্তপূর্বক প্রকৃত সত্য নিরূপণ করে ক্ষতিগ্রস্তদের তাদের জায়গা-জমি, বসত বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান।
তিনি বলেন, এ দেশে কেউ সংখ্যালঘু নয়, সকলে আমরা বাংলাদেশি। জাতি ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ১৯৭১ সালে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। বিগত জুলাই-আগস্টের ছাত্রজনতার আন্দোলনে আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে স্বৈরাচারকে উৎখাত করেছি। স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ সংখ্যালঘুর ধুয়া তুলে কাউকে দুর্বল করা যাবে না।
মন্দির কমিটির সভাপতি শনি ভূষণ দত্তের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মৎস্যজীবী দলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীর আলম সনি, জহিরুল ইসলাম বাশার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক মো. শাহ আলম ও সদস্য সচিব কে এম সোহেল রানা, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমির, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য মো. রনি আক্তার, ফজলে কাদের সোহেল, মো. ইব্রাহিম চৌধুরী, জাহিদুল আলম মিলন, শেখ তাওলাত হোসেন, আবু বক্কর সিদ্দিক, কেন্দ্রীয় নেতা মো. শাহাদত হোসেন ও বগুড়ার বিএনপি নেতা মাসুদ, মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার দাস, জগন্নাথ ঘোষ।
মন্তব্য করুন