জাতীয়তাবাদী মৎস্যজীবী দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব আব্দুর রহিম বলেছেন, প্রশাসন ও আদালতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পতিত স্বৈরাচার হাসিনার দোসররা বসে আছে বলেই খুনিরা জামিন পেয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আন্দোলনকারীরা, নির্যাতিতরা গত ১৬ বছরের নির্যাতন এখনো ভোগ করছে।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে বিক্ষোভ পরবর্তী সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাজধানীর মিরপুর হজরত শাহআলী বাগদাদী (রা.) মাজার গেট থেকে মৎস্যজীবী দল ঢাকা মহানগর উত্তরের এক বিক্ষোভ মিছিল হয়। পরে মাজার গেটে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন আব্দুর রহিম। মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমির হোসেন আমিরের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব মো. বাকি বিল্লাহ সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।
স্বৈরাচারের খুনি সাবেক মন্ত্রীদের জামিন দেওয়ায় তীব্র প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে প্রশাসন ও বিচার বিভাগ থেকে স্বৈরাচারের দোসরদের অপসারণ করে প্রশাসনকে জনবান্ধব ও নিরপেক্ষ করার আহ্বান জানান আব্দুর রহিম।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার মন্ত্রী খুনি সাবের হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তারের পর আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার একদিন পর তাকে অসুস্থ বলে আদালতে পাঠায়। আদালত ছয়টি মামলায় একদিনে জামিন দিয়ে তাকে আদালত থেকেই মুক্ত করে দেয়।
আব্দুর রহিম বলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুল মান্নান সব মামলায় জামিন নিয়ে কারাগার থেকে বের হয়ে যায়। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ১৬ বছরের নির্যাতিত মাহমুদুর রহমান আত্মসমর্পণ করলে তাকে আদালত জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠায় এবং তার জামিন হতে চার দিন সময় লাগবে। এটা কিসের আলামত? আসলে প্রশাসন এবং বিচার বিভাগের সর্বস্তরের কথিত স্বৈরাচারের দোসররা অবস্থান করার কারণে এসব হচ্ছে।
মৎস্যজীবী দলের এ নেতা বলেন, সেনাবাহিনী প্রধান বলেছিলেন সেনা হেফাজতে পুলিশ প্রশাসন ও পতিত স্বৈরাচারের মন্ত্রী-এমপি এবং নেতাদের আশ্রয় দিয়েছে। তারা কারা জাতি জানতে পারেনি। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরও যেসব মন্ত্রী-এমপি, নেতারা বাংলাদেশে ছিলেন তারা কীভাবে পালিয়ে গেল, এটা সবার জিজ্ঞাসা? অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যন্তরে ভিন্ন কোনো শক্তি বা পতিত স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা লুকিয়ে আছে কিনা সেটাও দেশবাসীর জিজ্ঞাসা। অন্তর্বর্তী সরকারকে ব্যর্থ করার জন্য বিভিন্ন রকম ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আমরাই সরকারকে ব্যর্থ হতে দিতে পারি না। অবিলম্বে সব সংস্কার শেষে নির্বাচনী রোড ম্যাপ ঘোষণা এবং নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করা দরকার বলে মন্তব্য করেন আব্দুর রহিম।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত থেকে বক্তব্য দেন- মৎস্যজীবী দলের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, জাহাঙ্গীর আলম সনি, সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য আনোয়ার হোসেন ও ফজলে কাদের সোহেল। এ সময়ে মহানগর মৎস্যজীবী দলের যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম মজুমদার শামীম ও এম সায়েম উদ্দিন সিয়ামসহ বিভিন্ন থানার নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন