দেশের মানুষ ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে- দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। তাই আপনারা অবিলম্বে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন- সেটা তিন মাস পরে হোক, ছয় মাস পরে হোক কিংবা নয় মাস পরে হোক। দেশের মানুষ ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায়। তারা ভোট দিতে উদগ্রীব হয়ে রয়েছে। তাই অন্তর্বর্তী সরকারকে বলব, অবিলম্বে নির্বাচন কমিশন সংস্কার করুন। এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে যেটা অতীব প্রয়োজন, কেবল সেটা সংস্কার করুন। সব প্রতিষ্ঠান সংস্কার করা আপনাদের কাজ নয়। এ কাজ করবে নির্বাচিত সরকার। আপনারা নির্বাচিত সরকার নন।
ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলেও তাদের দোসররা, প্রেতাত্মারা এখনো প্রশাসনসহ সব জায়গায় রয়ে গেছে। অবিলম্বে তাদেরকে অপসারণ করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। এটা দেশের জনগণেরও চাওয়া।
তিনি আরও বলেন, মানুষের গণতান্ত্রিক ও ভোটের অধিকারের জন্য আমরা বিএনপির সঙ্গে গত ১৫ বছর ধরে রাজপথে আন্দোলন-সংগ্রাম করছি। সেই আন্দোলনের ফসল এই অন্তর্বর্তী সরকার। সুতরাং এই সরকারকে আমরা ব্যর্থ হতে দিব না। কিন্তু এই সরকারের কেউ কেউ গোপনে ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে, আওয়ামী লীগের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে। তাদেরকে বাদ দিয়ে যোগ্য লোকদের সরকারে অন্তর্ভুক্ত করুন, প্রয়োজনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে যোগ্য লোকদের সরকারে নিন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা এখনো প্রত্যাহার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ড. ফরহাদ। তিনি বলেন, তারেক রহমান দীর্ঘদিন বিদেশে রয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু এখনো তার মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হয়নি। অবিলম্বে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে হওয়া সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করুন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক। তিনি বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক গোয়েন্দা প্রধান হারুন ও বিপ্লব কুমার সরকারের অত্যাচারের কথা মনে পড়লে এখনও চোখে পানি আসে। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করুন। ৪৬০ থানার ওসিকে আইনের আওতায় আনুন। তারা বলতে পারবে- কোথায় আছে ছাত্রলীগ-যুবলীগের অবৈধ অস্ত্র।
সংগঠনের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরফত আলী সপু, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা শাহ মো. নেছারুল হক, কৃষক দলের সহসভাপতি আনম খলিলুর রহমান (ভিপি ইব্রাহীম), মৎস্যজীবী দলের সাবেক সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।
মন্তব্য করুন