বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ সবসময় সংখ্যালঘুদের পুঁজি করে রাজনীতি করে। অথচ, তাদের শাসনামলেই হিন্দু সম্প্রদায় বেশি অত্যাচারিত হয়। পতিত শাসকগোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করে দেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। আর এ ক্ষেত্রে সংখ্যালঘুদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে। যার প্রমাণ এবারও মিলেছে।
শনিবার (৫ অক্টোবর) লৌহজং কলেজ মাঠে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে শান্তি সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন। আবদুস সালাম বলেন, শনিবার ছাত্র-জনতার বিজয়ের পর কিছু মন্দির ও হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এ হামলা কারা চালালো? যে বিএনপিসহ দেশবাসী ছাত্র-জনতার হাজারো রক্তের বিনিময়ে এ দেশে বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে এনেছে, দেশকে স্বৈরাচারমুক্ত করেছে তারা কখনই চাইবে না দেশ আবার অস্থিতিশীল হোক। ঝিনাইদহ, খুলনা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বরিশাল, মঠবাড়িয়াসহ বিভিন্ন মন্দিরে হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের একাধিক সন্ত্রাসীগোষ্ঠী গ্রেপ্তার হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় মন্দির ভাঙচুরের ভিডিও দেখে তাদের শনাক্ত করা হয়েছে। এরা স্বীকার করেছে আওয়ামী লীগের উপরের মহলের নির্দেশেই তারা এগুলো করেছে।
তিনি আরও বলেন, আজকে সারা দেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক বাড়িঘর ও জমি-জমা বেহাত অবস্থায় আছে। কারা দখল করেছে? সব জায়গাই দখলে আছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি কোনো হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গা-জমি দখল করেনি। বরং বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভাই-বোনরা নিরাপদ থাকে। আমরা হিন্দু বা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ভিন্নভাবে দেখি না। তারাও বাংলাদেশি। কিন্তু আওয়ামী লীগই দেশের মধ্যে ধর্ম নিয়ে বিভেদ সৃষ্টি করে আমাদের মাঝে দূরত্ব তৈরি করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটে।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান অপু চাকলাদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটি ও ঢাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী। অনুষ্ঠানে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে লৌহজং উপজেলার ৩৩টি পূজামণ্ডপে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ।
মন্তব্য করুন