নুরুল হক নুরকে হত্যাচেষ্টা, মামলা ও নেতাকর্মীদের আটকের প্রতিবাদে ৮ আগস্ট ঢাকায় ও ১১ আগস্ট জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদের একাংশ।
আজ শুক্রবার (৪ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি জানান, নুরের শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। হত্যার উদ্দেশ্যে তাকে এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়েছে। এতে মস্তিষ্কের কয়েক জায়গায় রক্ত জমে আছে। ঠিকমতো কথাও বলতে পারছেন না তিনি।
রাশেদ খান অভিযোগ করে বলেন, মামলা বা জিডি করতে গেলে থানা সহযোগিতা করে না। তাই এবার হামলার পর তারা মামলা করছেন না। জবাব দিতে রাজপথে থাকার ঘোষণা দেন গণঅধিকারের এই নেতা।
গত বুধবার (২ আগস্ট) ছাত্র অধিকার পরিষদের এক কর্মসূচিতে অংশ নিতে মিছিল নিয়ে টিএসসি যান নুর। এ সময় তাদের মিছিলে বাধা, তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে একপর্যায়ে তাদের মারধর করেন একদল ছাত্রলীগ নেতাকর্মী। এ সময় নুরকে রিকশায় তুলে হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও কয়েকজন তাকে দৌড়ে মারতে যান। এ সময় ২৫ থেকে ৩০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ছাত্র অধিকার পরিষদ। পরে আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে ছাত্রলীগ।
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকার ঘটনাটি (হামলার) পরিষদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ হোক কিংবা আনুষঙ্গিক অন্য কারণে হোক–তা অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রত্যাশিত ও দুঃখজনক।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে ‘নুরের ওপর হামলার’ বিষয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন- যখনই নুর নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়ান, তার আর্থিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে, সংগঠনের টাকায় নিজের ব্যাংক-ব্যালান্স নেওয়ার বিষয়টি সামনে আসে, বিকাশে টাকা নেওয়া অথবা প্রবাসী অধিকার পরিষদের মাধ্যমে অর্থ নেওয়া– প্রভৃতি বিষয় ঘটে, তার ইমেজ সংকট তৈরি হয়, তখনই মার খাওয়ার ঘটনা ঘটে। আমি মনে করি, এ বিষয়গুলো বিচার-বিশ্লেষণযোগ্য।
এ ছাড়া অতিউৎসাহী হয়ে ছাত্রলীগের কোনো পর্যায়ের কর্মীও যদি তাতে জড়িত থাকে, তাহলে সেটা আমরা তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
মন্তব্য করুন