ঢাকার আশুলিয়ায় কাউসার হোসাইন খান নামে এক পোশাক শ্রমিক গুলিতে নিহত এবং আরও চারজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ৩০ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেন, দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শ্রমিক নিহতের এ ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। দেশের মানুষের প্রত্যাশা ঐতিহাসিক গণবিপ্লবের পর বিনাবিচারে আর কোনো নাগরিকের মৃত্যু ঘটবে না। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এ জাতীয় ঘটনা আরও ধৈর্য ও সহনশীলতার সাথে মোকাবিলা করার এবং গুলি চালানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর সোমবার সকালে মন্ডল গ্রুপের শ্রমিকদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে মালিকপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ত্রিপক্ষীয় মিটিং চলছিল। সমঝোতা না হওয়ায় শ্রমিকরা কারখানার বাইরে অবস্থান নেন। পরে অন্যান্য কারখানার শ্রমিকরা সেখানে জড়ো হতে থাকেন। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও শ্রমিকরা মুখোমুখি অবস্থান নেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা লাঠিচার্জ শুরু করেন। শ্রমিকরা র্যাব ও পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। পরে শ্রমিকরা আরও উত্তেজিত হলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে গুলি চালায়। এ সময় পাঁচজন শ্রমিক গুলিবিদ্ধসহ অন্তত আরও ৩০ জন শ্রমিক আহত হন। গুলিবিদ্ধ পাঁচজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় পিএমকে হাসপাতাল ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর গুলিবিদ্ধ কাউসার হোসাইন খানকে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। আমি এ ঘটনায় গভীরভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করছি এবং কাউসার হোসাইন খানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তার পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।
তিনি আরও বলেন, শিল্প বাঁচলে দেশ বাঁচবে এবং দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকবে। আমি শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এবং উদ্ভূত যে কোনো পরিস্থিতি আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে সমাধান করার জন্য মালিক-শ্রমিক উভয়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে এই নিহতের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
মন্তব্য করুন