সাম্য ও মানবিক সমাজ বিনির্মাণে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না। তিনি বলেন, বিপদে-আপদে আমাদের সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে। এটাই বিএনপি-যুবদলের রাজনীতি।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ঝালকাঠির ইশারা কমিউনিটি সেন্টারে এক যৌথ কর্মিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোনায়েম মুন্না এসব কথা বলেন।
স্বাধীনতার মূল চেতনা- সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারভিত্তিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নতুন পথযাত্রায় জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের দিক-নির্দেশনামূলক এই যৌথ কর্মিসভা অনুষ্ঠিত হয়।
যুবদল সভাপতি বলেন, দলে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না, কোনো অনুপ্রবেশকারীকে স্থান দেওয়া যাবে না- এটা সকল নেতাকর্মীকে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের সাধারণ মানুষের মন জয় করতে হবে, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোনো অন্যায় করা যাবে না। আওয়ামী লীগের সাথে কোনো আপস করা যাবে না। আমরা মানুষের জন্য কাজ করছি। সুতরাং অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। কারো সাথে জোর-জবরদস্তি করে রাজনীতি করা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিতে বিদেশের মাটিতে অনেক কষ্ট করছেন। তবু আওয়ামী লীগের সাথে কোনো আপস করেননি। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে সহযোগিতা করার বার্তা দিয়েছেন। আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করবো, এটা আমাদের দায়িত্ব।
মোনায়েম মুন্না বলেন, এই ঝালকাঠিতে আমির হোসেন আমুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসের রাজ্য তৈরি হয়েছিল। বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দেওয়া হয়েছিল; গুম-খুন করা হয়েছিলো। কিন্তু তারপরেও কোনো নেতাকর্মী রাজপথ ছাড়েনি।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আমাদের মেসেজ ক্লিয়ার- দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কারণ, যেকোনো মূল্যে সমাজ-রাষ্ট্রে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা বদ্ধপরিকর।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা গত ১৬ বছর ধরে খুনি হাসিনা সরকারের নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হওয়ার পরও কেউ রাজপথ ছাড়েনি, কাউকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে পারেনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বৈরাচাররা ক্ষমতা ছেড়েছেন, তবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া লাগেনি। কিন্তু হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।
ঝালকাঠি জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মনজুরুল ইসলাম রিয়াদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বায়েজিদ হোসাইন, জেলা যুবদলের সহসভাপতি রবিউল ইসলাম তুহিন প্রমুখ।
মন্তব্য করুন