ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নীরব বলেছেন, গত ২০ বছরে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তারা উন্মুখ হয়ে আছে- কবে একটা ভোট দিতে পারবে। মানুষকে তার পছন্দের প্রতিনিধি নির্বাচনের সুযোগ করে দিতে হবে।
শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের মনিপুরীপাড়া প্রাইমারি স্কুলে এক সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
সাইফুল আলম নীরব বলেন, আমরা বিশ্বাস করি- সংবিধান, আইন ও বিচার বিভাগ এবং নির্বাচন কমিশনের সংস্কার প্রয়োজন। কিন্তু সংস্কার সবচেয়ে বেশি ন্যায্য হয়, যদি সেটি নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমে হয়। তাই আমি আহ্বান জানাব, যত দ্রুত সম্ভব যৌক্তিক সময়ের মধ্যে মানুষকে তার ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সম্মিলিত ঐক্যকে ধরে রাখা দরকার। এই গণঅভ্যুত্থান ছাত্র-শ্রমিকসহ আপামর জনসাধারণের। এককভাবে কারও এই গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব দাবি করা সমীচীন নয়। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ ১৬ বছরের লড়াই-সংগ্রামের জমিনেই এই গণঅভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান ছিল আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে দেশের কোটি কোটি মানুষের সীমাহীন পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানে সত্যিকারের পরিবর্তনের যে আকাঙ্ক্ষা উঠে এসেছে সেটিকেও বাস্তবায়িত করতে হবে। এই ঐক্য বিনষ্ট বা প্রশ্নবিদ্ধ হলে গণঅভ্যুত্থানের গৌরব ও মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক বলেন, চলমান পরিস্থিতিতে আমাদের শৃঙ্খলায় থাকতে হবে, শান্তিতে থাকতে হবে। আপনারা কোনো রকমের চাঁদাবাজি, দখলদারি, অত্যাচার-নিপীড়নের মধ্যে যুক্ত হবেন না। যারা দলের হুকুম ও সিদ্ধান্ত মানবে না, তারা দলের লোক নয়। ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক নেতা ও স্থানীয় বাসিন্দা গোলাম কিবরিয়া মাখনের সভাপতিত্বে এতে স্থানীয় বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলী, সালামত খান সজিবসহ মনিপুরী পাড়ার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ভাটারা থানা বিএনপির এক কর্মিসভায় অংশ নেন সাইফুল আলম নীরব। এতে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি এবং নির্বাহী কমিটির ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম, মালয়েশিয়া বিএনপির সভাপতি বাদরুল রহমান, মহানগর উত্তরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব এজিএম শামসুল হক, নগর নেতা হযরত কাজী এবং আজহারুল ইসলাম সেলিম উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন