বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন পরিকল্পনামতো, সুষ্ঠু, সহিংসতামুক্ত ও শান্তিপূর্ণ দেখতে চায় ভারত। প্রতিবেশী বন্ধুদেশটি মনে করে, এই নির্বাচন প্রক্রিয়া কেমন হবে তা ঠিক করবে বাংলাদেশ সরকার ও দেশটির জনগণ। তবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়েও কোনো মন্তব্য নেই দেশটির।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের চলমান রাজনীতি ও নির্বাচন নিয়ে ভারতের অবস্থান প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে এই প্রথম আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিল ভারত।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানকে দেশে আনতে যা করছে সরকার
বাংলাদেশের নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন দেশের তৎপরতা ও পরামর্শ এখন দৃশ্যমান।
বিএনপিসহ সরকার বিরোধীরাও আন্দোলন কর্মসূচিসহ নানা তৎপরতা বাড়িয়েছে। বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ইতোমধ্যে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকের পর বিএনপি নেতারা বলেছেন, তাদের আশা, ভোটের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে। এ ব্যাপারে ভারতের অবস্থান জানতে চান সাংবাদিকরা।
জবাবে অরিন্দম জানান, বাংলাদেশের জনগণ যেভাবে চাইবেন, ভোট সেভাবেই হবে। সবকিছু তারাই নির্ধারণ করবেন। নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য বাংলাদেশের বিরোধীদলগুলোর দাবির বিষয়ে ভারতের কোনো মন্তব্য নেই। ঢাকার পরিস্থিতি দিল্লি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে জানিয়ে মুখপাত্র আরও বলেন, নির্বাচন ঘিরে ওই দেশে বহু ধরনের তৎপরতা দেখা যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক দুনিয়াও অনেক মন্তব্য করছে। কিন্তু ভারত তো ভারতই। বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী বাংলাদেশের ঘটনাবলির প্রভাব ভারতের ওপরও পড়ে। তাই ভারত চায় নির্বাচন পরিকল্পনামাফিক হোক। সহিংসতা ছাড়া শান্তিপূর্ণ ভোট হোক।
এর আগে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ব্যক্ত করেন পিটার হাস।
আজ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের পিটার হাস বলেন, বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো সিদ্ধান্ত নেবে। বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান নেই। কোনো বিশেষ দলকে নয়, বরং গণতন্ত্রকে সমর্থন করে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানান, তারা সুস্থ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করেন। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে যোগ দিতে সকালে কার্যালয়ে উপস্থিত হন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লে. কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ ফারুক খান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমদ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
মন্তব্য করুন