বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় নিহত শহীদ পরিবারদের সহমর্মিতা ও আর্থিক সহযোগিতা করতে বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইল মৃধা বাড়ি এলাকায় ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের আয়োজিত সমবেদনা ও আর্থিক সহযোগিতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
এ সময় আওয়ামী স্বৈরাচারবিরোধী গণঅভ্যুত্থানে নিহত শহীদ সৈকত চন্দ্র দে ও শহীদ পারভেজের পরিবারের প্রতি তারেক রহমানের নির্দেশে সমবেদনা ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, গণবিরোধী ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার হাসিনার নির্দেশে সরকারের গুণ্ডাবাহিনী নির্বিচারে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হত্যা করেছে। এ হত্যার দায়ে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের এই বাংলার জমিনে বিচারের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও বলেন,আমাদের প্রাণ প্রিয় নেতা তারেক রহমান বিদেশে বসেও নেতাকর্মীদের খোঁজ খবর রাখছেন। আজ আমি তারেক রহমানের নির্দেশে গণঅভ্যুত্থানে শহীদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করতে এসেছি।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, সংগঠনের আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন, সদস্য সচিব কৃষিবিদ মিথুন, সদস্য মাসুদ রানা লিটন, ফরহাদ আলী সজীব, শাহাদাত হোসেন ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতা আবুল কাশেম।
তবে ডিএনসিসির সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ-সংগঠনের কোনো নেতাকর্মীরা অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর এ আগমন ও মানবিক কর্মসূচিতে অংশ গ্রহনের বিষয়টি জানতেন না বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের স্থানীয় নেতাকর্মীরা হতাশ হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এ সংগঠনটি সম্পর্কে অনেকেই অবগত নয়। তৃণমূল নেতাদের বিভ্রান্ত করতে তাদের এ আয়োজনে থানা ও স্থানীয় পর্যায়ে সহ নগরের উল্লেখযোগ্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকার কথা ছিল যা মানা হয়নি।
কেন্দ্রীয় নেতার আগমনে সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত না থাকায় সাংগঠনিক দূর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে বলে দু:খ প্রকাশ করেছেন বিএনপি ও অংগ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী গণআন্দোলন চলাকালে রাজধানীর শনির আখড়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে হিন্দু সম্প্রদায়ের সৈকত চন্দ্র দে ও পারভেজ নিহত হন।
মন্তব্য করুন