বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে আদালতের দেওয়া রায়কে ফরমায়েশি ও ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ‘জিয়া পরিষদ’। সংগঠনের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুস ও মহাসচিব ড. মো. এমতাজ হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, ২০০৭ সালে ১/১১ এর ফখরুদ্দিন-মঈনুদ্দিন সরকারের সময় তারেক রহমান দম্পতির বিরুদ্ধে যে মামলাটি করা হয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ণরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যে মামলা চলার মতো আইনগত কোনো উপাদান নেই সেই মামলার ফরমায়েশি রায় ঘোষণা করে বর্তমান ক্ষমতাসীন অবৈধ, ফ্যাসিবাদী সরকার প্রমাণ করেছে তারা তারেক রহমানের রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কাছে পরাস্ত হয়েছে। একারণেই তারা গদি হারানোর ভয়ে ভীত হয়ে আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে জোর করে এই রায় প্রদান করেছে যাহা সম্পূর্ণ বেআইনি।
নেতৃদ্বয় বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে বিচারকরা যে ফরমায়েশি রায় দিয়েছেন তা প্রতিবাদী জনতার ঝড়ে উড়ে যাবে। সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই রায় দেওয়া হয়েছে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আজ সারা দেশে যেভাবে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে তাতে প্রমাণিত হয় তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণের তীব্র আন্দোলনেই এই রায় ভেসে যাবে।
তারা আরও বলেন, তারেক রহমান এই মুহূর্তে বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা। তারেক রহমানের দক্ষতা, যোগ্যতা ও রাজনৈতিক দূরদর্শিতায় বিএনপির মহাসমাবেশে লাখ লাখ জনতার ঢল দেখে শেখ হাসিনা ভয়ে ভীতু হয়ে আদালতকে এই রায় দিতে বাধ্য করেছে।
জিয়া পরিষদের শীর্ষ দুই নেতা বলেন, তারেক রহমানের বাবা ছিলেন এ দেশের রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম। তার মা বেগম খালেদা জিয়া হলেন বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। যিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের জনপ্রিয় নেত্রী। সেই পরিবারের সন্তান এবং বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আগামী দিনের কাণ্ডারি হচ্ছেন তারেক রহমান। তার বিরুদ্ধে ফের নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিবাদীরা। অন্যদিকে ডা. জুবাইদা রহমান একদিকে যেমন জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার পুত্রবধূ অন্যদিকে তিনিও দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী বর্ণাঢ্য পরিবারের সন্তান। মেধাবী চিকিৎসক জুবাইদা রহমান পড়ালেখা করেছেন সেরা চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজে। তার পিতা মরহুম মাহবুব আলী খান বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান ও মন্ত্রী ছিলেন।
সুতরাং তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে যে মামলায় রায় প্রদান করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ অবান্তর ও ভিত্তিহীন। যাহা দেশের জনগণ মানে না। আমরা মনে করি তারেক রহমান ও ডা. জুবাইদা রহমান ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আর এসব করে বিএনপির চলমান আন্দোলন দমন করা যাবে না। সরকার নিয়ন্ত্রিত আদালতের মাধ্যমে তারেক রহমান এবং ডা. জুবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রত্যাহারের আহ্বান জানান নেতৃদ্বয়।
মন্তব্য করুন