বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র ও জনতার রক্তের মধ্য দিয়ে আমরা এই দেশ নতুন করে স্বাধীন করতে পেরেছি। কোনো অবস্থাতেই দেশকে ফ্যাসিস্ট ফর্মুলায় নেওয়ার সুযোগ নেই।
রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে নিহত জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তরা-পূর্ব থানার সদস্য মো. জসীম উদ্দিনের বাসভবনে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় আমিনুল হক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে নিহত নেতার মা ও ছোট ভাইদের সাথে সাক্ষাৎ করে পরিবারের খোঁজখবর নেন এবং আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করেন। নিহত জসীম উদ্দিনের ছোট ভাইকে কলেজে লেখাপড়ার খরচসহ তার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
আমিনুল হক বলেন, স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার বাংলাদেশে এক বর্বর শাসন কায়েম করেছিল। কোনো অবস্থাতেই সেই শাসনের পুনরাবৃত্তি আর এই দেশে হতে দেওয়া হবে না। ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ হাজার হাজার ছাত্র ও জনতাকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত কেউ পার পাবে না, প্রত্যেকের বিচার করা হবে।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে সারাদেশে নিহত ও আহত পরিবারের সার্বিক খোঁজখবর নিচ্ছেন এবং তাদের পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তাও করছেন।
এ সময় আমিনুলের সঙ্গে জাসাস ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক শরীফুল ইসলাম স্বপন, সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন আনু, যুগ্ম আহবায়ক ওমর ফারুক, রিপন হাওলাদার, বিমানবন্দর থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দিন তারেক, মন্জুর হোসেন পাটোয়ারী, বশির আহমেদ, উত্তরা-পূর্ব থানা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন, জাসাস ঢাকা মহানগরের সদস্য একেএম শামছুল কবির মিলন, উত্তরা-পূর্ব থানা জাসাসের আহবায়ক আল আমিন, সদস্য সচিব মাসুম হোসেন, পল্লবী থানা জাসাসের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম বাবু, যুগ্ম আহবায়ক কামরুজ্জামান হাসান, রূপনগর থানা আহবায়ক সালাউদ্দিন সবুজ, সদস্য সচিব রুহুল আমিন প্রমুখ নেতারা ছিলেন।
মন্তব্য করুন